এদিনের সভায় মমতা বলেন, ‘মোদীবাবু, আপনি খেয়ে একটু দেখুন না স্বাদটা কেমন, খেয়ে দেখবেন?’ সরাসরি মাছ খাওয়ানোর নিমন্ত্রণ জানানোতেই থেমে থাকেননি তিনি। মমতা জানান, তিনি নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতেও রাজি আছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৈরি করে দেব? কথা দিচ্ছি, কাউকে দিয়ে করাব না, নিজে রান্না করব। আমি রান্না জানি।’
তবে, মাছ খাওয়া নিয়ে মোদীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনাও করতে ছাড়েননি মমতা। তিনি জানান, মোদী এখন বলে বেড়াচ্ছেন, মাছ খাবেন না, মাংস খাবেন না, ডিম খাবেন না। মমতা কথায়, ‘মানুষের যাঁর যা ইচ্ছা, খাবে। যে নিরামিষ ভালবাসে, সে নিরামিষ খাবে। যে আমিষ খায়, সে তা-ই খাবে। এ দেশ আমাদের সকলের। নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান।’
মোদীকে মাছ খাওয়ানোর নিমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি নিজেও ‘ধোকলা’ খেতে রাজি বলেও জানান মমতা। খাবারের বিষয়ে কোনও জাতপাত দেখা উচিত নয়, মঞ্চ থেকে সেই বার্তাও দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কেউ বিরিয়ানি ভালবাসে, কেউ চিংড়ি পটল ভালবাসে, কেউ চিংড়ির মালাইকারি ভালবাসে।…আমিও ধোকলা খেতে রাজি আছি, কোনও অসুবিধে নেই। ’ খাওয়া-দাওয়ার বিষয় নিয়েও রাজনৈতিক সভা থেকে মোদীর ভাষণের কড়া নিন্দা করেন তিনি। বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য যেমন মাছ, তেমনি গুজরাটিদের প্রিয় খাবার ধোকলা। সংস্কৃতি অনুযায়ী পছন্দের খাবার আলাদা হতেই পারে, সেটাকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করা উচিত নয় বলেই এদিন বার্তা দেন মমতা।