এই ঘটনার প্রতিবাদে আজকেও সন্দেশখালির রাস্তায় ফের আন্দোলনে নামেন বিজেপি মহিলা কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কাঠপোল বাজারে এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপি মহিলা কর্মী সমর্থকদের। সন্ধ্যের পর কাঠপোল বাজার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের। রাস্তা থেকে অবস্থানরত মহিলাদের টেনে হিঁচড়ে তুলে প্ৰজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল হইচই শুরু হয় এলাকায়। পুলিশে ছয়লাপ হয় গোটা বাজার এলাকা।
গতকাল সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা কর্মীদের মারধরের অভিযোগে চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। বিজেপির দাবি, ধৃত এই চারজন বিজেপি কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূল পরিকল্পনা করে পুলিশকে দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করিয়েছে। পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনটাই দাবি জানিয়ে সন্দেশখালির বেড়মজুরের কাঠপোল বাজারে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিশেষ করে বেড়মজুর এলাকার বিজেপি নেত্রী গীতা বরের মুক্তির দাবি তোলেন বিক্ষোভকারী মহিলারা।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে ইতিমধ্যে দুটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে সন্দেশখালির বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে নারী নির্যাতনের ঘটনা সাজানো এবং অর্থের বিনিময়ে করতে হয়েছে বলে বলতে দেখা গিয়েছে। দ্বিতীয় ভিডিয়োতে কোন কোন মহিলাকে টাকা দেওয়া হয়েছে, অস্ত্রের যোগান দেওয়া নিয়েও নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছে। যদিও, বিজেপির তরফে এই ভিডিয়োকে ফেক নোলা হয়েছে। হাইকোর্টে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছেন গঙ্গাধর কয়াল।