এরপরেই দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ভ পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলে? আরে বিজেপি জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি জিতলে তো! এখান থেকে তো তৃণমূলের প্রার্থী জিতবেন।’ তিনি জানান, পুরুলিয়া জেলায় আমরা গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩টি আসনে জিতেছিলাম, বাকি ছয়টা আসনে আমরা হেরেছি। কিন্তু, বিজেপির জেতা আসনেও বিজেপিকে ভোট দেওয়া মহিলারাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন, অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে বাংলার একশো দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি, বলে দাবি করেন তিনি।
অভিষেক জানান, এখানে বিজেপির প্রার্থী ভোট চাইতে এল তাঁর কাছে রিপোর্ট কার্ড চাইবেন। গত পাঁচ বছরে বিজেপির সাংসদ পুরুলিয়ার জন্য কী কাজ করেছেন, তার খতিয়ান দেওয়ার ব্যাপারেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘ এই জেলায় মোট ৬ লাখ ৬৩ হাজার ১৭৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আপনার জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে জিজ্ঞাসা করুন, কত টাকা খরচ করেছে!’
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে নিয়েও কটাক্ষ করেন অভিষেক। বিজেপি প্রার্থী বছরের ১০ মাস রাঁচিতে গিয়ে বসবাস করেন, লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ তাঁকে দেখতে পান না বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। এদিনের সভা থেকে তিনি তুলে ধরেন আদিবাদী সমাজের দাবি অনুযায়ী কুড়মি সমাজকে জনজাতিভুক্ত না করার জন্য। বিজেপি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) করে আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নেবেন বলেও সতর্ক করেন অভিষেক।