Adhir Chowdhury : চতুর্থ দফায় বহরমপুর ছাড়াও কংগ্রেসের ঝুলিতে আরেকটি আসন, দাবি অধীরের – adhir ranjan chowdhury said congress may win birbhum seat in lok sabha election


তৃতীয় দফার আসনে বহরমপুর ছাড়াও আরও একটি আসন পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে কংগ্রেসের – এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বলেন, ‘বীরভূমে এবার আমাদের প্রার্থী মিল্টন রশিদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। ও ভালো ছেলে। ভালো ভোট পাচ্ছে। তৃণমূলের আসন হাতছাড়া হওয়ার স্বভাবনা প্রবল।’সবেমাত্র বহরমপুরে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অধীর চৌধুরী ডবল হ্যাটট্রিক করবেন না নবাবের শহরে পাঠান যুগের সূত্রপাত হবে? নির্ধারিত হবে ৪ জুন। তবে তার আগে বহরমপুর কেন্দ্রটি অধীরের হাতছাড়া হতে চলেছে বলে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনকি, তিনি হারলে তাঁকে বিজেপি রাজ্যসভায় সাংসদ করার প্রস্তাব দেবে বলেও বেশ কিছু খবর উড়ে বেড়াচ্ছে। সেই রটনার জবাব দিলেন অধীর চৌধুরী নিজেই।

গত পাঁচটি লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর আসন থেকে টানা জিতে এসেছেন অধীর চৌধুরী। এবার এই আসন থেকে জিতে আসলে রীতিমতো রেকর্ড করবেন অধীর। তবে অধীরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় বাজি প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। প্রচারে তাঁর প্রতি মানুষের সমর্থন উপচে পড়েছে। সেটা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হলে চিত্র পাল্টাতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। অধীর চৌধুরী হারলে বিজেপি থেকে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে বলে বেশ কিছু মতামত ঘোরাফেরা করছে সামাজিক মাধ্যমে।

এর জবাবে অধীর বলেন, ‘হঠাৎ আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ করার ইচ্ছে মোদীর হবে আমার জানা নেই। ধরুন, আমি হারব, কিন্তু তার সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার কি সম্পর্ক?’ এরকম তথ্য সম্পূর্ণ ভুল বলে নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন অধীর। এমনকি, বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, ‘এমন আবার না হয়, মোদীকেই শেষমেশ রাজ্যসভার সাংসদ হতে হয়।’

আজ বহরমপুরে ভোট, কী বলছেন অধীর চৌধুরী?

অধীর জানান, এগুলি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে, ভোটগণনায় কারচুপি করার চেষ্টা হতে পারে। ফলত, ভোটগণনায় যাঁরা কংগ্রেসের হয়ে যাবেন, তাঁরা যাতে ‘ভগ্ন মানসিকতা’ নিয়ে যায়। অধীর বলেন, ‘অনেকেই যাতে ভাবেন, ভোটগণনায় মনযোগ দিয়ে আর কী হবে? ইটা একটা সাইকোলজিক্যাল গেম চলছে। ভোটগণনার জায়গায় আমাদের দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ এরকম যাঁরা ছড়িয়ে দিচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগ তুলে তিনি মামলা লড়বেন বলেও জানান।

অধীরের প্রচারে কেন বঙ্গে এলেন না রাহুল গান্ধী? মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
অধীর এদিন আরও জানান, মুর্শিদাবাদে মেরুকরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটে কোথাও মেরুকরণ হয়নি। অধীরবাবু বলেন, ‘শক্তিপুরের অশান্তি বিজেপি তৃণমূলের সংগঠিত অশান্তি। চেষ্টা করা হয়েছিল ভোট বিভাজনের, মেরুকরণের। এর পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ধন ছিল।’ তবে তাঁর দাবি, কিন্তু কোথাও মেরুকরণ হয়নি। কারণ ২০২১ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদের মানুষ জেনে গিয়েছে সাম্প্রদায়িক তাস খেলে তাঁদের সৌহার্দ্য নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এটা মেনে নেয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *