গত পাঁচটি লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর আসন থেকে টানা জিতে এসেছেন অধীর চৌধুরী। এবার এই আসন থেকে জিতে আসলে রীতিমতো রেকর্ড করবেন অধীর। তবে অধীরের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় বাজি প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। প্রচারে তাঁর প্রতি মানুষের সমর্থন উপচে পড়েছে। সেটা ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হলে চিত্র পাল্টাতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। অধীর চৌধুরী হারলে বিজেপি থেকে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে বলে বেশ কিছু মতামত ঘোরাফেরা করছে সামাজিক মাধ্যমে।
এর জবাবে অধীর বলেন, ‘হঠাৎ আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ করার ইচ্ছে মোদীর হবে আমার জানা নেই। ধরুন, আমি হারব, কিন্তু তার সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার কি সম্পর্ক?’ এরকম তথ্য সম্পূর্ণ ভুল বলে নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন অধীর। এমনকি, বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, ‘এমন আবার না হয়, মোদীকেই শেষমেশ রাজ্যসভার সাংসদ হতে হয়।’
অধীর জানান, এগুলি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে, ভোটগণনায় কারচুপি করার চেষ্টা হতে পারে। ফলত, ভোটগণনায় যাঁরা কংগ্রেসের হয়ে যাবেন, তাঁরা যাতে ‘ভগ্ন মানসিকতা’ নিয়ে যায়। অধীর বলেন, ‘অনেকেই যাতে ভাবেন, ভোটগণনায় মনযোগ দিয়ে আর কী হবে? ইটা একটা সাইকোলজিক্যাল গেম চলছে। ভোটগণনার জায়গায় আমাদের দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ এরকম যাঁরা ছড়িয়ে দিচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগ তুলে তিনি মামলা লড়বেন বলেও জানান।
অধীর এদিন আরও জানান, মুর্শিদাবাদে মেরুকরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটে কোথাও মেরুকরণ হয়নি। অধীরবাবু বলেন, ‘শক্তিপুরের অশান্তি বিজেপি তৃণমূলের সংগঠিত অশান্তি। চেষ্টা করা হয়েছিল ভোট বিভাজনের, মেরুকরণের। এর পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ধন ছিল।’ তবে তাঁর দাবি, কিন্তু কোথাও মেরুকরণ হয়নি। কারণ ২০২১ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদের মানুষ জেনে গিয়েছে সাম্প্রদায়িক তাস খেলে তাঁদের সৌহার্দ্য নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এটা মেনে নেয়নি।
