আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সোমবারই শেষ হয়েছে। পরদিনই মঙ্গলবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন লালা। আত্মসমর্পণের পরে, লালার পক্ষে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে কলকাতা হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আসানসোলে পৌঁছেছেন। সিবিআই-এর পাশাপাশি কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে ইডিও। প্রসঙ্গত, এই কয়লা পাচার মামলায় লালার একাধিক সঙ্গী ও অবসরপ্রাপ্ত ইসিএল-এর আধিকারিকরা গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে, বলতে গেলে প্রত্যকেই এখন জামিনে বাইরে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সিবিআই কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করে। রাজ্যে রেলের বিভিন্ন সাইডিং এলাকা থেকে কয়লা চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর প্রথমে আয়কর দফতর ও পরে সিবিআই সেই মামলার তদন্তে নামে। তদন্তে নামার পর একে একে লালার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এমনকী লালার সঙ্গী বলে পরিচিত গুরুপদ মাজি-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। পরবর্তীতে তিন জন জামিন পেলেও, গুরুপদ এখনও দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে এর আগে জানা গিয়েছিল, লালার সঙ্গে গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকেরও যোগাযোগ ছিল। তদন্তকারিদের দাবি, কয়লা পাচারের সময় এনামুলের সিন্ডিকেটেরই সাহায্য নিতেন লালা। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও বংলার প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে ছিল পাচারের জাল। সিবিআই-এর আরও দাবি, রাজনৈতিক মদতের পাশাপাশি লালার সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন, ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড ও রেলকর্তাদের একাংশেরও যোগাযোগ ছিল। সেই লালাই এবার আত্মসমর্পণ করলেন আদালতে।