সময়টা- ২০২০ সাল, মার্চ মাস। ‘চা কাকু’-কে মনে আছে? লকডাউনের সময় যাঁর একটি প্রশ্নে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা নেট দুনিয়া। ‘আমরা কি চা খাব না, খাব না আমরা চা? চা-কাকুর এই কথা ভাইরাল হয়েছিল ঝড়ের মতো! আর এই একটি কথাই বদলে দিয়েছিল মৃদুল দেব ওরফে চা-কাকুর জীবন।কাট টু ২০২৪, ১৩ মে। কেশপুরে বিশ্বনাথপুর এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে প্রার্থী বলেন, ‘আমি জানি না কোন ভাষায় বলব, আমার মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!’ হিরনের মুখে এমন কথা শুনে পাশে থাকা এক বৃদ্ধ বলে ওঠেন, ‘বাংলা কথাই বলো না!’ আর বৃদ্ধের এই কথাই এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। এই ভিডিয়ো নিয়ে রিতিমতো হিরণকে ট্রোল করতে শুরু করেছেন অনেকে। শাসকদল ঘনিষ্ঠ বহু পেজে তা হুড়মুড়িয়ে শেয়ার হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় কেশপুরের ১৫ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত বিশ্বনাথপুর এলাকার বিনয় মান্ডি নামে এক বিজেপি কর্মী। বিজেপির দাবি, SC ST কমিশন থেকে শুরু করে থানার দারস্থ হয়েও মেলেনি নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর হদিস। প্রচারে বেরিয়ে বিশ্বনাথপুর এলাকায় গিয়ে নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। সে সময় কেশপুর এর বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কার্যত মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। অন্তত এমনটাই তিনি দাবি করেছেন। সেখানেই দেখা যায় এই ব্যক্তিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর তাঁর নাম, হপনাম মান্ডি, নিখোঁজ বিনয় মান্ডির প্রতিবেশী। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন তিনি, একেবারেই ছাপোষা দিন আনা দিন খাওয়া বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি। হিরণের মুখে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ শুনে তা বোঝার চেষ্টাও করেননি তিনি। আর সেই কারণেই সোজা কথায় বাংলা বলার দাবি তাঁর। যা এখন হাসির খোরাক গোটা নেট দুনিয়ায়।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় কেশপুরের ১৫ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত বিশ্বনাথপুর এলাকার বিনয় মান্ডি নামে এক বিজেপি কর্মী। বিজেপির দাবি, SC ST কমিশন থেকে শুরু করে থানার দারস্থ হয়েও মেলেনি নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর হদিস। প্রচারে বেরিয়ে বিশ্বনাথপুর এলাকায় গিয়ে নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। সে সময় কেশপুর এর বর্তমান অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কার্যত মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। অন্তত এমনটাই তিনি দাবি করেছেন। সেখানেই দেখা যায় এই ব্যক্তিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর তাঁর নাম, হপনাম মান্ডি, নিখোঁজ বিনয় মান্ডির প্রতিবেশী। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন তিনি, একেবারেই ছাপোষা দিন আনা দিন খাওয়া বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তি। হিরণের মুখে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ শুনে তা বোঝার চেষ্টাও করেননি তিনি। আর সেই কারণেই সোজা কথায় বাংলা বলার দাবি তাঁর। যা এখন হাসির খোরাক গোটা নেট দুনিয়ায়।
ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। কেন এরকম হল, প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও তৃণমূল যাবতীয় অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই ভিডিয়ো নিয়ে মিমের ঝড় উঠেছে। গ্রাম্য মানুষটার সরল সাদা সিধে উত্তরে অনেকে হিরণকে খোঁচা মারার গন্ধও খুঁজছেন। চা কাকুর সঙ্গে এই বৃদ্ধাকে জুড়ে দিয়েছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, এই হিরণ এক সময়ে ছিলেন অভিনেতা। তবে এখন পুরোপুরি রাজনীতিতে মন দিয়েছেন তিনি। খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় এই আরও বড় লড়াইয়ে নামিয়েছে দল। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন তিনি।