মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন কয়েক বার। লালবাজারের কর্তারা আশাবাদী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্যে আচরণবিধির প্রশিক্ষণে সুফল মিলবে। সরকারি সূত্রে খবর, ১০টি করে থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে আয়োজিত হবে কর্মশালা। লোকসভা ভোট মিটলেই শুরু হবে এই প্রক্রিয়া।
লালবাজারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তারাও। রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি অধীর শর্মার মতে, ‘ভালো উদ্যোগ। এই ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়মিত হওয়া জরুরি।’ আইনজীবী সৌম্যজিৎ গুহর উপলব্ধি, ‘সিভিকের অনেকে নিজেদের পুলিশের সমকক্ষ মনে করেন। খারাপ আচরণ করা নিয়ে দু’বার ভাবেন না। এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কর্মশালা খুব জরুরি।’
প্রাক্তন পুলিশকর্তারা মনে করেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইনের পাঠের পাশাপাশি কী ধরনের কাজ তাঁদের করতে হবে, তাঁদের ক্ষমতা কতটা, কোথায় কখন আচমকা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে, তা অনুধাবনের ক্ষমতা—এ-সবই প্রশিক্ষণে থাকা উচিত। উত্তর কলকাতার একটি থানায় কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের অবশ্য বক্তব্য, ‘দিনে আট ঘণ্টা কাজ করার কথা। সেখানে অনেক সময়েই ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। ফলে অনেক সময়ই সামান্য কারণে মাথা গরম হয়ে যায়। যে কাজ আমাদের করার কথা নয়, তাও করতে হয়। সব কিছুতেই থানার সিনিয়র অফিসাররা আমাদের সামনে ঠেলে দেন। ফলে আমাদেরই খারাপ কথা শুনতে হয়।’