তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমাদের বিপক্ষ দলের জন্ম মিথ্যা লগ্নে, রাশি দুর্নীতি।’ রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে তাঁর বক্তৃতায়। সভামঞ্চ থেকে এদিন মিঠুন একশো দিনের কাজ নিয়ে শাসক দলের অভিযোগকে নস্যাৎ করে বলেন, ‘২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসাব এই সরকার দেয়নি। তাই এদের টাকা ক্যাগ বন্ধ করে রেখেছে। এই টাকা বন্ধ করে রাখার ক্ষমতা বিজেপির নেই।’
আরও একটি ইস্যু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট ঘোষণার কয়েকদিন আগেই দেশ জুড়ে সিএএ চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনের চরম বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা এদিন মিঠুন বলেন, ‘সিএএ আপনাদের বিরুদ্ধে নয়। সিএএ সবার জন্য। আসল আধার কার্ড থাকলেই হবে।’
হুগলির পাণ্ডুয়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে এদিন সভা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে রাজনৈতিক বক্তৃতা থাকলেও তিনি যে মহাগুরু! কয়েকটি ডায়ালগ না শুনে ছাড়ার পাত্র দর্শকরা। যদিও, তাঁর বেশ কিছু ডায়ালগ নিয়ে গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিতর্ক হয়। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিন দর্শকদের আবদারে মিঠুন বলেন, ‘সিনেমার ডায়লগ থেকে নাকি হিংসা হচ্ছে। যাই হোক ডায়লগ তো আমি বলবই, তবে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলব। এরপরেই একের পর এক বহুল প্রচলিত ডায়লগ শোনা যায় তাঁর গলায়। তিনি বলেন, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি এইরকম একটা সাপ যে গর্ত থেকে ছোট ছোট ইঁদুর বার করে নিয়ে আসে।’ নিজের সিনেমার ডায়লগকে উল্লেখ করে মিঠুনের প্রতিশ্রুতি, ‘আমি তুফান বছরে এক আধ বার আসি তবে এবার প্রত্যেকবার আসব আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে।’
প্রসঙ্গত, এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে দুই চিত্র তারকার লড়াই। একদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির হয়ে লড়ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বস্তুত, এক সময় তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সিনেমায় কাজও করেছেন মিঠুন। তবে, তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে এদিন নির্দিষ্ট করে কোনও আক্রমণ করেননি মিঠুন।