Mukul Roy,লাভপুর হত্যাকাণ্ডে আদালতে হাজিরা মুকুল রায়ের, ভোট নিয়ে মুখ খুললেন? – mukul roy has not said anything about lok sabha election during court production


বোলপুর আদালতে হাজিরা দিলেন মুকুল রায় ও মণিরুল ইসলাম। ২০১০ সালের লাভপুরের ৩ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এদিন হাজিরা দেন মুকুল রায়। এদিন মুকুল রায়কে লোকসভা ভোটের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন করে সংবাদমাধ্যম। যদিও সেই প্রশ্নের উত্তরে কিছুই বলেননি মুকুল রায়।এই বিষয়ে আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, ‘২০১০ সালে লাভপুরের তিন ভাই খুন হওয়ার ঘটনায় ৬৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তদন্ত হওয়ার পর চার্জশিট জমা পড়ে ৪২ জনের নামে। বাদ যায় ২২জনের নাম। পরে অভিযোগকারী সানোয়ার শেখ আবারও তদন্তের জন্য আদালতে যান। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। বিশেষ একজন অফিসার তদন্ত করে আরও ২৩ জনের নাম যোগ করে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে। ২৩ জনের মধ্যে ছিলেন মুকুল রায় এবং মণিরুল ইসলাম। তদন্ত প্রক্রিয়া যখন শেষ হয় তার আগেই এই দু’জন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আজ কোর্ট ট্রান্সফার কমিটমেন্টের দিন ছিল। সেই জন্য সকলকে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। তাই ওঁরা হাজির হয়েছিলেন। কমিটমেন্ট করে দেওয়া হল। মামলাটি বিচারের জন্য সল্টলেকের বিধায়ক-সাংসদ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হল।’

এদিন মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই খুনের ঘটনায় প্রথমে একটা চার্জশিট হয়। সেই চার্জশিট থেকে অনেকের নাম বাদ যায়। কিন্তু পুনরায় তৃণমূলের নেতারা মণিরুলকে ভয় পায়। তখন তৃণমূলের নেতারা চাপ দিয়ে অনেক জনকে গ্রেফতার করায়। তখন সিপিএম ছিল, আর এখন সিপিএম তৃণমূল ভাই ভাই হয়ে গিয়েছে।’

অন্যদিকে সাংবাদিকরা এদিন মুকুল রায়কে লোকসভা ভোটে কে জয়ী হবে প্রশ্ন করলেও কোনও উত্তর দেননি তিনি। সঙ্গে থাকা যুবক মুকুলের কানের কাছে গিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল জিতবে।’ কিন্তু তারপরেও চুপই থাকেন মুকুল।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই প্রত্যক্ষ রাজনীতিত থেকে সরে রয়েছেন মুকুল রায়। পরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই তাঁর অসুস্থতার বিষয়ে জানান হয়েছে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্নের সদস্য মুকুল রায় একটা সময় ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পদ্ম শিবিরের টিকিটে ২০২১ সালে বিধায়কও হন তিনি। যদিও পরে ফের গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় মুকুলের। যার ফলে ফের একবার তৃণমূলের ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটে তাঁর। তবে তারপর অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে অনেকদিনই দূরে রয়েছেন মুকুল রায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *