জীবনকৃষ্ণের সেই মোবাইল থেকে একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই। সেখানে একাধিক অডিয়ো কল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অযোগ্য প্রার্থীদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
মূলত, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় জামিনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এদিন তাঁর হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ও অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। শুনানির শেষে এদিন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন ১২টা থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। সেদিন রাট থেকে পুকুর ছেঁচার কাজ শুরু হয়।পরের দিন পুকুর থেকে বিধায়কের মোবাইল ফোন দুটি উদ্ধারের পাম্প বসানো হয়। শেষমেশ মোবাইল দুটি উদ্ধার করা যায়। এরপর টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় ৩,৪০০ প্রার্থীর তথ্য উদ্ধার হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সিবিআই।
দেশের শীর্ষ আদালতে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীরা জানান, নিয়োগ দুর্নীতির মামলার চার্জশিটে নাম থাকা মোট ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। এর মধ্যে তিন জন পরে জামিন পেয়ে যান। এমনকি, মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রসন্ন রায় এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন। সেইমতো জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন করা হয়। যদিও, প্রমাণ লোপাটের তথ্য তুলে ধরে জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই।