ঠিক কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
তিনি এদিনের সভা থেকে বলেন, ‘যতদিন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার থাকবে ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু থাকবে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে দেব না।’
সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে এদিন সুর চড়ান অভিষেক। তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতা বলছে সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণ হয়নি। একটি রাজনৈতিক দল এতটা নীচে নামতে পারে যে চারটে, পাঁচটা, দশটা ভোটের জন্য দেশের কাছে বাংলাকে ছোট করেছে। আবাস, ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী সভা করে বলছেন, যাঁরা মাছ খান, তাঁরা দেশ বিরোধী। আমরা কী খাব, কী পরব, কী রঙের জামা পরব তা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী।’
তাঁর সংযোজন, ‘উত্তরপ্রদেশে তফশিলিদের উপর সবথেকে বেশি অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। সবথেকে বেশি লাঞ্ছনা, বঞ্চনা হয়েছে। এই বছরের শেষের আগেই আমরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু করব।’
অমিত শাহকে তোপ দেগে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এসে বলছেন দুর্গপুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি ছুটি দেয় না। বাংলায় দশ দিন ছুটি দেওয়া হয়। যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মা কতদিন ছুটি দেন দেখাও। যদি দেখাতে পারে ওরা আমাদের থেকে বেশি ছুটি দিয়েছে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
এদিন সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিয়ো (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) প্রসঙ্গ শোনা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালির ভিডিয়োতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছে আমাদের এক একটা বুথে মদ খাওয়ানোর খরচ লাগবে পাঁচ হাজার টাকা। বাংলায় বুথ আছে ৮০ হাজার। তাহলে সেই দিক থেকে ৪০ কোটি খরচ দাঁড়াচ্ছে। এটা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন। আপনি হয়তো হতবাক হয়ে শুনছেন। ৪০ কোটির মদ? এই জন্যই দেখবেন কোনও ভদ্রলোক বিজেপি করে না। সব পাতাখোর বিজেপিতে। মাতালদের পার্টি। তাই মদ খাওয়ানোর খরচ ৪০ কোটি। ‘
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে একাধিক বিষয়ে তোপ দাগেন বিজেপি সরকারকে।