এই বিষয়ে প্রয়াত কৃষ্ণচন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে উত্তম প্রামাণিক বলেন, ‘যে ভাবে ভোট দিই, সেই ভাবেই দিয়েছি। শ্মশান থেকে এসে ভোট দিয়েছি। ভোটের আগের দিন বাবা মারা যান। ভোটের দিন সকাল ৬টার সময় বাবাকে শ্মশানে নিয়ে যাই। সাড়ে ১০টার সময় বাড়ি ফিরি। তারপর ১১টার সময় সবাই ভোট দিই। আমরা কংগ্রেসকে ভালোবাসি। ভোট নষ্ট করা মানে নিজেদের ভুল।’ গোটা পরিবারে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন ভোটার রয়েছেন বলেও জানান উত্তম।
বুধবার পরিবারটির সঙ্গে দেখা করতে যান বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু হবিষ্যিও নিয়ে যান অধীর। স্বজনহারা পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমবেদনা জানান। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধীর বলেন, ‘অনেক বড় পরিবার ওদের। পরিবারের একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরের দিন দাহ করে তারা আমাদের ভোট দিতে এসেছে। শোকাহত এই পরিবার যে ভাবে তাদের আবেগকে চেপে রেখে ভোট দিতে এসেছে, সেটা আমার কাছে অভূতপূর্ব বলে মনে হয়েছে। তাই খবর পেয়ে আমি দেখা করতে এসেছি।ট
প্রসঙ্গত, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল এই বহরমপুরেই। ছেলের দেহ মর্গে রেখে ভোট দিতে গিয়েছিলেন মা। সেই ঘটনার খবর জানতে পেরেও সন্তানহারা মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন অধীর। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবারের। ৫ বছর পর কার্যত ফিরে এল সেই ঘটনাই।