Barasat Lok Sabha,প্রথমে অপহরণের অভিযোগ, পরে মিলল খোঁজ, মনোনয়ন প্রত্যাহার বারাসতের প্রার্থী কাকলির – independent candidate kakoli ghosh has withdrawn her nomination ahead of barasat lok sabha election


বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড়। ওই কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কাললি ঘোষকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ, গতকাল রাত দু’টো নাগাদ ১০ থেকে ১৫ জনের বাইক বাহিনী সহ একটি চার চাকা গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা এসে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করে তাঁকে। পরে অবশ্য খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন জেলাশাসকের দফতরে। তবে ২৪ ঘণ্টা প্রোতে না পেরোতেই মনোনয়ন প্রত্যাহারও করে নেন তিনি। এমনকী কেউ তাঁকে অপহরণ করেনি বলেও দাবি কাকলির।জানা গিয়েছে, কাকলি ঘোষের বাড়ি হাবড়া থানা এলাকার বামিহাটি ছাতিমতলা এলাকায়। পরিবার সূত্রে খবর, বছর ৩৫-এর কাকলি ঘোষের ইচ্ছা ছিল নির্বাচনী লড়াইতে অংশ নেওয়ার। সেই ইচ্ছা থেকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দেন তিনি। অভিযোগ, তারপর থেকেই নানা জায়গা থেকে হুমকির ফোন আসতে থাকে নির্দল প্রার্থী কাকলির কাছে। কাকলির পাশিপাশি তাঁর স্বামী বছর ৪০-এর সঞ্জীব ঘোষকেও অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ।

এদিকে প্রার্থীর কোনও খোঁজ না পেয়ে, হাবড়া থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কাকলি ঘোষের নির্বাচনী এজেন্ট দিলীপ দাস। তাঁর সন্দেহ, একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সঙ্গে নামের মিল থাকার কারণেই ভোট কাটাকাটির ভয়ে নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষকে অপহরণ করা হয়। মঙ্গলবারই জেলাশাসকের দফতরে নমিনেশন জমা দেয় কাকলি। প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট জানান, সম্ভবত তাদের চিহ্ন হতে পারে টর্চ।

দুই ছেলে, স্বামী ও বৃদ্ধ বাবা মা-কে নিয়ে সংসার নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষের। কাকলির নির্বাচনী এজেন্ট দিলীপ দাস এই অপহরণের ঘটনায় প্রার্থীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কাও করেন। গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানান হয় হাবড়া থানায়। কিন্তু তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বারাসাতের জেলা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন তুলে নিতে দেখা গেল নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষকে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত থেকেই এই মনোনয়ন প্রত্যাহার। এমনকী তাঁকে কেউ বা কারা অপহরণ করেনি বলেও জানিয়ে দেন কাকলি। এদিন কার্যত মুখ ঢেকে রীতিমতো দৌড়ে জেলাশাসকের দফতর থেকে পালাতে দেখা যায় নির্দল প্রার্থীকে। তবে কোনওরকম চাপের মুখে পড়েই কি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন নির্দল প্রার্থী কাকলি? রাজনৈতিকমহলে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *