Jiban Krishna Saha,একগুচ্ছ শর্তে জামিন জীবনকৃষ্ণর, মুক্তির পরেই মুখ খুললেন সন্দেশখালি নিয়ে – jiban krishna saha gets bail and release from presidency correctional home today


জামিনে মুক্তি পেলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন তিনি। বেশকিছু শর্তে তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে বুধবার আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। একগুচ্ছ শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেয় আদালত।

কী কী শর্ত দেওয়া হল?

১) ২৫ হাজার টাকার দুটো বন্ড জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দিতে হবে।
২)আদালতের নির্দেশ ছাড়া রাজ্যের সীমানার বাইর যেতে পারবেন না।
৩)জামিন পাওয়ার পর তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
৪) প্রতিটি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
৫) কাউকে এই মামলার ক্ষেত্রে কোনও হুমকি দেওয়া যাবে না, প্রমান লোপাট করা যাবে না।
৬)পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
৭) বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না
৮) যে আদালতের অধীনে মামলাটি চলছে, সেই আদালতের এলাকার একজন কাউকে সাক্ষী হিসেবে থাকবে হবে।

জামিন পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জীবনকৃষ্ণ জানান, তাঁর ভালো লাগছে। একইসঙ্গে সন্দেশখালিকাণ্ড ও সেখানকার ভাইরাল ভিডিয়ো প্রসঙ্গেও মুখ খুলতে দেখা যায় জীবনকৃষ্ণকে। তাঁর সাফ কথা, ‘সবটাই বিজেপির চক্রান্ত। এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে বিজেপি সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতিগ্রস্ত। এটা মানুষ প্রমাণিত করে দিয়েছে।’ এদিন সংশোধনাগার থেকে বেরোনর সময় তাঁর মুখে ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ’ স্লোগানো শোনা যায়।

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। বড়ঞার আন্দি গ্রামে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে একটানা প্রায় ৭২ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালান হয়। সেই সময় নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে সেই পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অপরটি অবশ্য তখনও পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দাবি, তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ছোড়েন তিনি। পরে টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েন জীবনকৃষ্ণ। গ্রেফতারও হন। পরে দ্বিতীয় মোবাইলটিও উদ্ধার হয়।

গ্রেফতার হওয়ার ৬ মাস পর জীবনকৃষ্ণ সাহা সরাসরি দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। ৬ মাস ধরে জেলবন্দি থাকলেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি, এই যুক্তিতে করা হয় আবেদন। জীবনকৃষ্ণ আবেদনে জানিয়েছিলেন, দুর্নীতিতে ধৃত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসন্ন সিনহারা যদি জামিন পেতে পারেন, তাহলে তিনি কেন নন? শেষমেশ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জামিন মঞ্জুর হয় জীবনকৃষ্ণ সাহার। আর বুধবার সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *