Sandeshkhali Case : জামিন নিতে এসে জেলে বিজেপি নেত্রী পিয়ালি, কবচ গঙ্গাধরকে – basirhat court remands sandeshkhali bjp leader piyali das to 8 day judicial custody in situation of lok sabha election


এই সময়, সন্দেশখালি: আদালতের নির্দেশে আট দিনের জন্য জেলে যেতে হলো সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে পিয়ালিকে। আগে থেকে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জামিনের আবেদন জানিয়ে বসিরহাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পিয়ালি। কিন্তু আইনজাবীদের সওয়াল জবাব শোনার পর জামিনের আবেদন নাকচ করে বিচারক তাঁর আট দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২২ মে ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।গত দিন দশেক ধরে সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সন্দেশখালিতে একের পর এক মহিলা অভিযোগ করেন, সাদা কাগজে সই করিয়ে তাঁদের দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে। এবং সেই ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল পিয়ালির দিকেই।

শেখ শাহজাহান পলাতক থাকাকালীন গ্রামের প্রতিবাদী মহিলাদের থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পিয়ালির বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির গ্রামের মহিলারা রান্নার কাজ ও একশো দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন মহিলা কমিশনের সদস্যদের কাছে।

Sandeshkhali News: সন্দেশখালি স্টিং ভিডিয়ো নিয়ে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

কিন্তু তাঁদেরও সাদা কাগজে সই করিয়ে পরে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। ‘সাজানো’ অভিযোগ তুলে নিতে ইতিমধ্যে এলাকার দুই প্রতিবাদী মহিলা প্রশাসনেক দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। অভিযোগ তোলার চেষ্টা হলে বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস তাঁদের হুমকি দিয়েছেন বলে এলাকার এক প্রতিবাদী মহিলা সন্দেশখালি থানায় পিয়ালি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে সন্দেশখালির থানার পুলিশ পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলে পিয়ালির বাড়িতে নোটিস ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করে পিয়ালি অবশ্য দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। মঙ্গলবার বসিরহাট কোর্ট থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে পিয়ালি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দিদি ভয় পেয়েছেন। আমি কোনও হুমকি দিইনি। কাউকে সাদা কাগজে অভিযোগ করাইনি।’ বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট লোকসভার বিজেপির আহ্বায়ক বিকাশ সিংহ বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’

সন্দেশখালি: তদন্ত হোক শীর্ষ কোর্টের নজরদারির মধ্যে, আর্জি
পিয়ালির আইনজীবী প্রীতম মণ্ডল বলেন, ‘সন্দেশখালির এক প্রতিবাদী মহিলা পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ পেয়ে পুলিশের তরফে পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরে আর একটি ধারা নতুন করে যোগ করেছে পুলিশ।’ এ প্রসঙ্গে বসিরহাট মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী অরুণ পাল বলেন, ‘পিয়ালি দাসের বিরুদ্ধে নতুন করে জামিনঅযোগ্য ধারা যুক্ত হওয়ার কারণে তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।’

রবিবারই বিজেপির মহিলা কর্মীদের হাতে মার খেয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক। তিনি বলেন, ‘যিনি আন্দোলন করেছিলেন তিনি একজন মা, তৃণমূলের সাধারণ সমর্থক। আন্দোলনটা সে দিন কোনও দলের তরফ থেকে হয়নি। পরে যখন তারা জেনেছেন মিথ্যা মামলা করে তাঁদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, তখন তিনি চেয়েছেন সত্য সামনে আসুক।’ সন্দেশখালির এক প্রতিবাদী মহিলার কথায়, ‘পিয়ালি গ্রেপ্তার হয়েছে, ভালো হয়েছে। ও যে অন্যায় করেছে তাতে আমরা সকলেই অপমানিত, অসম্মানিত হয়েছি। আমরা চাই সত্য সামনে আসুক।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *