Abhijit Ganguly: ‘রেখা পাত্রকে ২০০০ টাকায় কেনা হয়েছিল! মমতা তুমি কত টাকায় বিক্রি হও’, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা অভিজিতের


কিরণ মান্না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও তমলুকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালি ঘটনার কথা টেনে গতকাল অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রেখা পাত্রকে কেনা হয়েছিল ২০০০ টাকায়? মমতা ব্য়ানার্জি তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? হলদিয়া কাঁথি ও এগরায় আজ সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের দিন সন্ধেয় হলদিয়ায় অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্য প্রবল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

আরও  পড়ুন-উত্তরবঙ্গেই ওদের খেলা শেষ, উনি বুঝে গিয়েছেন রেজাল্ট কী হবে : দিলীপ ঘোষ

সন্দেশখালি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের। সন্দেশখালি কাণ্ডের বেশ কয়েকটি গোপন ভিডিয়ো সামনে এসেছে। ওইসব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা। একটি ভিডিয়োতে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে ২০০০ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন রেখা। সন্দেশখালির স্টিং অপারেশন ভিডিও কাণ্ডে স্থানীয় এক ব্যক্তি গঙ্গাধর কয়াল এবং রেখার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেখা পাত্র। তাঁর আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করেছেন রেখার বিরুদ্ধে কত মামলা হয়েছে তার তালিকা দিক পুলিস।

হলদিয়ার চৈতন্যপুরে রেখা পাত্রের কথা টেনে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, তোমার হাতে ৮ লাখ টাকা গুঁজে দিলে একটা চাকরি দাও। তোমার হাতে কেউ ১০ লাখ টাকা দেয় আর রেশন হাওয়া করে দেয় অন্য দেশে। ভারতেই থাকে না সেই রেশন। তোমার রেট ১০ লাখ টাকা কেন? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করো বলে? রেখা পাত্র গরিব মানুষ। লোকের বাড়িতে কাজ করে। আমাদের প্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সুন্দরী নন। সেজন্য তাকে ২০০০ টাকায় কেনা যায়? একজন মহিলা হয়ে অন্য এক মহিলা সম্পর্কে কী করে ওই উক্তি করতে পারেন তা আমরা ভাবতে পারি না।

অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্য় নিয়ে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত নিজেকে একবার আয়নার সামনে দাঁড় করানো। তিনি হাইকোর্টে বিচারপতির চেয়ারটা কলঙ্কিত করেছেন। বিচারপতির চেয়ারে বসে পয়সা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারির কাছ থেকে। সেইমতো রায় দিয়েছেন। আজ এটা প্রমাণিত। তিনি নিজেই বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন তিনি বিজেপির সঙ্গে নেগোশিয়েশন করেছিলাম। কী সেই নেগোশিয়েশন? কীভাবে নিজের চেয়ারটা বিক্রি করেছিলেন বিজেপির কাছে সেটা জানা প্রয়োজন। ভারতের আইনের ইতিহাসে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে ধরা হবে নোংরা, দুরিনীতি পরায়ণ এক চরিত্র হিসেবে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *