Malda Mango : মালদার বাজার দখল ভিন রাজ্যের আমের, স্বাদ-গন্ধে টক্কর কেমন? – mangoes imported from chennai selling at malda several market


আমের কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসবে মালদার কথা। যে ভূমির আমের রয়েছে জগৎজোড়া নাম। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় সেই আম। তবে, মালদার বাজার জুড়ে ভিড় এখন ভিন রাজ্যের আমে। যার মধ্যে মূলত চেন্নাইয়ের আমই বেশি বিক্রি হচ্ছে। চেন্নাইয়ের গোলাপখাস, কৃষ্ণনগরের গোপালভোগ আমের গন্ধে ম ম করছে মালদার আমের বাজার।বিক্রেতাদের ডালিতে সাজানো একেবারে টকটকে সিঁদুরে লাল-হলুদ রঙের আম দেখেই জিভে জল চলে আসছে অনেক আমপ্রেমীদের। চেন্নাইয়ের গোলাপখাস জায়গা করে নিচ্ছে মালদার বাজারে। মূল্য ১৪০ টাকা কিলো। কৃষ্ণনগরের গোপালভোগ ১০০ থেকে ১২৫ টাকা। তবে গোলাপখাসের চাহিদা বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

যদিও আম কিনে খাওয়ার পর হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। মালদার আমের সঙ্গে চেন্নাই আমের যে কোনও তুলনাই হয় না। তা একবাক্যে স্বীকার করেছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। যদিও মালদার আম বাজারে আসতে এখনও ঢের দেরি। তার মধ্যেই এই ভিন রাজ্যের আম ছেয়ে গিয়েছে বিভিন্ন বাজারে। কিন্তু স্বাদে ও গুণে একেবারেই পিছিয়ে ভিন রাজ্যের এই আম।

মালদা শহরের অতুল মার্কেট, নেতাজি পুরো মার্কেট, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেট, মকদমপুর বাজার সহ একাধিক এলাকায় সবজি থেকে ফল বিক্রেতারা ভিন রাজ্যের আমের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। মূলত চেন্নাইয়ের আম বিক্রি হচ্ছে বাজারে । অনেক ক্রেতারা আবার এই ভিন্ন রাজ্যের আমকে কৃষ্ণনগরের বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। পাকা আম দেখে অনেকেই নিজেদের লোভ সামলাতে পারছেন না।

মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট চেম্বার কমার্সের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, এই বছরে আমের ফলনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় আম ফলন জেলায় ভালো হবে না। গত বছর সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল, এবার তা অর্ধেক প্রায়। দেড় লাখ মেট্রিক টন আম উৎপন্ন হবে । এই এলাকার অর্থনীতি নির্ভর করে আমের উপর। কিন্তু এই আম গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে পাঁচ লাখ আম ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাধ্য হয়ে অনেক ব্যবসায়ী ভিন রাজ্যের আম নিয়ে আসছেন।

বৃষ্টির অভাবে আমের ফলনে ব্যাপক ঘাটতি, ‘ফলের রাজা’-কি এবার মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে?
আমের ফলন এবার কম হলে বিদেশের বাজারে আম রপ্তানি করার পরিমাণ কমবে। আমের দাম বাড়লেও ৫ লাখ আম ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিদেশে রপ্তানির পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যে আম রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। আম ব্যাবসায়ীদের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের কাছে অনুরোধ করব যে সমস্ত আম চাষী বা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাঁদেরকে যাতে কোনও আর্থিক সাহায্য করা হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *