বুকে মীনাক্ষীর ট্যাটু কেন?
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখনও রয়েছেন। সক্রিয়ভাবে ময়দানে রয়েছেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহ সেলিমও। এছাড়াও রয়েছেন আরও অনেক বাম নেতানেত্রী। তাহলে বুকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ট্যাটুই কেন? প্রশ্নের উত্তের সুজিত বোস বলেন, ‘মীনাক্ষী আমাদের ক্যাপ্টেন। তিনি যে ভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটাকে স্যালুট জানাতেই এই ট্যাটু্।’
কী বললেন মীনাক্ষী?
এদিকে ‘ভক্ত’ সুজিতের বুকের ট্যাটু প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, ‘ভক্ত বলবেন না। আমরা একসঙ্গে রাস্তায় লড়াই আন্দোলনে থাকি। কোনও কর্মীকে কোনও নেতার বা কোনও নেতাকে কোনও কর্মীর হয়ত পছন্দ। সেই পছন্দের ভিতটা হল রাজনীতি। সেই পছন্দের ভিতটা হল আদর্শ। সেই পছন্দ হল রাস্তায় থেকে লড়াইয়ের জেদ। ফলে সেইটা যখন এক জায়গায় থাকে তখন মানুষ মানুষকে ভালোবাসে, এবং যাঁরা সেইসব কাজ করেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই কালচার যাতে নেগেটিভ দিকে না গড়িয়ে যায়, মাথাটা ঠিক রেখে আমরা যেন দেশ ও রাজ্য বাঁচানোর লড়াইয়ে হাতে হাত ধরে থাকতে পারি।’
প্রসঙ্গত, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রথম থেকেই জমে উঠেছে নির্বাচনী লড়াই। ওই কেন্দ্রে ফের একবার বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। আবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা ‘দিদি নং ১’-এর মতো টিভি শো-এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে ওই কেন্দ্রে বামেদের প্রার্থী হলেন মনোদীপ ঘোষ। এবারের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হওয়ায়, ওই কেন্দ্রে মনোদীপকে সমর্থন দিচ্ছে হাত শিবিরও। আর নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রত্যেক প্রার্থী নেমে পড়েছেন নিজ নিজ প্রচারে। লকেটের সমর্থনে যেমন সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তেমনই রচনার সমর্থনে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আর এবার মনোদীপের সমর্থনে সভা করলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।