ঘটনায় জাফর নামে স্কুলের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা কাজ করছিলাম। রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা নাগাদ ওরা গেটে বোমা মেরে ঢোকে। আমাকে দেখতে পেয়ে গালাগালি শুরু করে। আমায় জিজ্ঞাসা করে সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক কোথায়? তারপর সব ভেঙে দেয়। একজনের হাতে হাঁসুয়া ছিল। ওটা আমার গলায় ধরেছিল। কোমর থেকে পিস্তল দেখিয়ে বলে কথা না শুনলে এখানেই শেষ করে দেবে। রাত দুটো-আড়াইটের সময় পুলিশ আসে। পুলিশ এসে আমাদের ভরসা দেয়। পুলিশ রাতে এখানে পাহাড়া দিয়েছে।’
গোপাল সাউ নামে স্কুলের অপর এক কর্মী বলেন, ‘একটা বোমা ফেলেছে। এসে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। প্রচণ্ড আতঙ্কে রয়েছি। রাতে ঘুম হয়নি।’ তবে পুলিশ এসে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে বলেও জানান গোপাল। তবে সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক যে ঘরে ছিল, সেটি তালাবন্ধ থাকায়, সেখানে আর ঢুকতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ, পুরনো কোনও শত্রুতা, নাকি অন্য কোনও বিষয়, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাদপুরের রায়গঞ্জে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষিকাকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, যখন ওই শিক্ষিকা ক্লাস নিচ্ছিলেন তখন কয়েকজন দুষ্কৃতী ধারাল অস্ত্র নিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং তাঁর ওপর চড়াও হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি শৌচাগারের ভেতর ঢুকে পড়লেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাননি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাত, পেট ও মুখে আঘাত করা হয়।