Trinamool Congress: নুরুল, মালার মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির – bjp demanded to nominations cancellation of tmc candidate mala roy and haji nurul islam in lok sabha election


এই সময়: হলফনামায় ‘অসম্পূর্ণ তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এবং হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি জানিয়ে বুধবার নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিল বিজেপি। কমিশনের তরফে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দু’জনের কারও মনোনয়নই বাতিল হচ্ছে না। তাঁদের মনোনয়ন ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে।বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাজি নুরুল। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে লড়ছেন সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ রেখা পাত্র। তাঁর অভিযোগ, হাজি নুরুল তাঁর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ‘নো ডিউজ় সার্টিফিকেট’ জমা দেননি। মঙ্গলবার বেলা ৩টের মধ্যে সেটা জমা করার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে সার্টিফিকেট জমা না পড়ায় নুরুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবি তুলেছেন রেখা।

লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে প্রত্যেক প্রার্থীকে কমিশনে হলফনামা জমা দিতে হয়। তাতে শেষ ১০ বছরে তিনি কোনও ধরনের সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করে থাকলে তার সব বকেয়া মিটিয়ে দিতে হয়। সরকারের কাছে আর কোনও বকেয়া নেই, এই মর্মে ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ জমা করতে হয়। রেখার অভিযোগ, হাজি নুরুল ‘নো ডিউজ সার্টিফিকেট’ জমা দেননি।

প্রসঙ্গত, নুরুল ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত লোকসভার সাংসদ ছিলেন। কার্যকাল শেষ হয় ২০১৪-র ১৮ মে। আর এ বার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গত ৭ মে। নির্বাচনী বিধি মেনে ২০১৪-র ১১ মে থেকে এ বছর ৭ মে পর্যন্ত সরকারের কাছে তাঁর কোনও বকেয়া রয়েছে কিনা, তার সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা নুরুলের। সেই সার্টিফিকেট তিনি জমা দেননি বলে বিজেপির অভিযোগ।

কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়ের বিরুদ্ধে অফিস অফ প্রফিটের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। মালা বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। সরকারি সাকুর্লার অনুযায়ী, যে সব সংস্থা অফিস অফ প্রফিটের মধ্যে পড়ে না, তার সর্বেশেষ তালিকায় কলকাতা পুরসভার নাম নেই। মালা তাঁর হলফনামায় সেই তথ্য এড়িয়েছেন বলে অভিযোগে কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী তাঁর প্রার্থিপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন।

যদিও মালার দাবি, ২০১৯-র মে থেকে তিনি রসভা থেকে কোনও সাম্মানিক নেন না। পুরসভা যে টাকাটা দেয় সেটা অনারিয়াম, স্যালারি নয়। তিনি বলেন, ‘আমি যে দিন থেকে সাংসদ হয়েছি, সে দিন থেকেই পুরসভার অনারিয়াম নিচ্ছি না। কলকাতা পুরসভা স্বশাসিত সংস্থা। আইনসভা নয়। পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে আমি কেবলমাত্র একটা অফিস ব্যবহার করি। আর কোনও সুবিধা নিই না। ওঁরা না জেনেই অভিযোগ করছেন।’

বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে অভিযোগ জানাতে এসে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘হাজি নুরুলের মনোনয়ন বাতিলের জন্য আমরা কমিশনে আবেদন জানিয়েছি। শেষ পর্যন্ত লড়ব। দরকার হলে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *