মঞ্চে তাঁর বক্তৃতা শেষের পর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় প্রতিটি সভাতেই। বক্তব্য শেষের পর তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর পায়ের চটি ছিঁড়ে গিয়েছে। মঞ্চ থেকেই অন্যান্য সহকর্মীদের তিনি বলেন, ‘এবার খালি পায়ে যাব নাকি? একটা সেফটি পিন জোগাড় করো।’ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে তোড়জোড় শুরু করেন নতুন জুতো আনার। কিন্তু সেটাতেও সময় লাগবে।
এরপর তিনি নিজেই বলেন, ‘ইন্দ্রনীল তুমি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করো। আমি জুতোতে সেফটি পিন লাগিয়ে নিচ্ছি। আসলে ওর দোষ কিছু নেই। জুতোর যা আয়ু তার থেকে বেশি হেঁটে ফেলেছি।’ এরপর তাঁকে মঞ্চতেই দেখা যায় নিজের জুতো খুলে সেফটি পিন লাগিয়ে নিতে। মঞ্চের মাঝেই চেয়ারে বসে জুতো ঠিক করে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এদিনের সভায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই দেখলাম, ওঁর চটি ছিঁড়ে গিয়েছে। তারপর উনি নিজেই সেফটি পিন দিয়ে সেটা সেলাই করে নিলেন। আমরা গর্বিত, যে ওঁর মতো মানুষের সৈনিক হতে পেরেছি। আমি অনেক মন্ত্রী, নেতাদের দেখেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মতো মানুষ আর হয় না।’ উনি অতি সাধারণ একজন মানুষ, সাধারণ মানুষের মতোই চালচলন তাঁর, আজকের ঘটনাতেই সেটা প্রমাণ পেল আরেকবার, বলে জানান বীরবাহা ।