আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ‘২৩ মে নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকাতে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। একটা মাঝারি সম্ভাবনা রয়েছে যে তা দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথমে শক্তিবৃদ্ধি করে নিম্নচাপ হতে পারে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায়। সেক্ষেত্রে তা পরবর্তীতে শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষের দিকে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় সপ্তাহ বলতে ২৪ থেকে ৩০ মের কথা বলা হয়েছে।’
অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে সাইক্লোন তৈরি হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ফলে তা তৈরি হলে কোথায় আছড়ে পড়বে, তার গতিবেগই বা কত হবে? এই প্রসঙ্গগুলি নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়াও সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য,বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে যে সমস্ত ঘূর্ণিঝড়গুলি তৈরি হতে চলেছে তার নাম আগে থেকেই ঠিক করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ১৩টি দেশের সুপারিশ প্রয়োজন হয়। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) বা ESCAP-র যে দেশগুলি রয়েছে তা একজোট হয়ে এই নাম দিয়ে থাকে।
‘প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন’-এর কাছে এই ঘূর্ণিঝড়গুলির সম্ভাব্য নামের একটি তালিকা পেশ করে বিভিন্ন দেশ। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হয় নাম। এক্ষেত্রে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়, এমন নাম রাখতে হবে যা কোনওভাবেই কোনও নির্দিষ্ট ধর্মকে আগাত করতে পারে না। পাশাপাশি একটি নাম একবারের বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। অতীতের সাইক্লোন মিগজাউম-এর নাম দিয়েছিল মায়ানমার। সেক্ষেত্রে যদি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে পরবর্তী কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তার নাম হবে রিমাল, যা ওমানের দেওয়া। এর অর্থ বালু।
অর্থাৎ এই নাম আগে থেকেই নির্ধারিত করা ছিল। নতুন কোনও সাইক্লোনের পূর্বাভাস পেয়ে তা রাখা হয়নি। সাধারণ মানুষ যাতে কোনওভাবেই আতঙ্কিত না হন, সেই বিষয়ে আশ্বস্থ করছেন আবহবিদরা।