Malda News,হাতে হাত রেখে পথ চলা শুরু মাত্র ৩ মাস আগে, বজ্রাঘাতে সব শেষ – malda newly married couple died in thunderstorm


কিছু দিন আগে ৪ হাত এক হয়েছিল। সবে শুরু হয়েছিল একসঙ্গে পথ চলা। স্বপ্ন ছিল মিলে মিশে কাটিয়ে দেবেন দোঁহে। কিন্তু ভাগ্যে হয়ত অন্য কিছুই লেখা ছিল। আর তাই মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই এক বজ্রপাতে সব শেষ। থেমে গেল পথ চলা, ভেঙে গেল স্বপ্ন। বৃহস্পতিবার মালদায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় নয়ন রায় ও প্রিয়াঙ্কা রায়ের। ছেলেমেয়েদের হারিয়ে দিশাহার দুই পরিবার।বৃহস্পতিবারের বজ্রপাতে মালদার বিভিন্ন এলাকার ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই মৃতদের তালিকায় নাম রয়েছে নয়ন রায় ও প্রিয়াঙ্কা রায়ের। জানা গিয়েছে, গত ৩ মাসে আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা অঞ্চলের খেজুরগাছি এলাকার বাসিন্দা নয়নের সঙ্গে বিয়ে হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীঘাটা অঞ্চলের কুস্তরিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার। দু’দিন আগেই স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন নয়ন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নব দম্পতি যান পাটের জমিতে। সেখানে কাজ করছিলেন তাঁরা। সেই সময় শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি। তখনই হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটে যায় এই অঘটন।

জানা গিয়েছে, নয়ন রায় দিনমজুরের কাজ করতেন। বাড়িতে রয়েছে দুই ভাই ও মা থাকেন। বাবা ঠোগনা রায় বছর তিনেক আগেই স্বর্গীয় হয়েছেন। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা সিংহ রায়ের বাবা বিমল সিংহ রায় ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তিন মাস আগে নয়ন রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিয়াঙ্কার। উভয় পরিবারই দিন দরিদ্র। শুক্রবার, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নয়নের বৃদ্ধা মা চুনিয়া রায়। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জমিতে ফসল চাষ করতে গিয়েছিলেন ছেলে বৌমা। হঠাৎই কালো মেঘে ঘনিয়ে আসে গোটা আকাশ। নিমেষের মধ্যেই শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে আচমকার বাজ পড়তে থাকে। আর তাতেই সর্বনাশ হয়ে গেল আমার। কিছুক্ষণ পরেই অন্যান্য প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পাই ছেলে বৌমা আর নেই। তড়িঘড়ি ছেলে বৌমাকে সবাই উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেইখানেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।’

এদিকে ইতিমধ্যে মৃত ১১ জনের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। যদিও নয়ন ও প্রিয়াঙ্কার আত্মীয় পরিজনরা চাইছেন সেই আর্থিক সাহয্যের পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়ান হোক। তাহলে সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলো অন্তত কিছুটা আর্থিক নিশ্চয়তা পায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *