ঘাটালে দলীয় প্রার্থী দেবের সমর্থনে প্রচার সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবকে ফের একবার ভোটে দাঁড়াতে কী ভাবে রাজি করিয়েছেন, সেই কথাও জানালেন মমতা। এদিন সভা থেকে মমতা বলেন, ‘ও (দেব) এবারে দাঁড়াতে চাইছিল না। বলছিল দিদি আমার কাজের অনেক চাপ আছে। আমি বললাম, তোমার কাজের চাপ চাই যাক, তোমাকে আমি সারাবছর বিরক্ত করব না। কিন্তু ঘাটালের মানুষ চায়, তুমিই দাঁড়াবে।’এদিন নাম না করে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘দেবের বিরুদ্ধে লড়ছে কে? আপনারা জানেন?’ তৃণমূলর নেত্রীর এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে জনতার থেকে উত্তর আসে ‘হিরণ’। এরপরেই মমতা বলেন, ‘সেটা কে? খায় না মাথায় দেয়? আমি জানি না। আমি নাম শুনিনি, কে দেবের বিরুদ্ধে লড়ছে।’
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ঘাটালে মূলত দুই অভিনেতার লড়াই হচ্ছে। অভিনেতা দেবের প্রতিপক্ষ অপর এক অভিনেতা হিরণ। নাম ঘোষণার পর থেকেই লড়াইতে নেমে পড়েছেন দুই প্রার্থী। চলছে লাগাতার মিটিং, মিছিল, জনসভ। একইসঙ্গে জারি রয়েছে রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি আক্রমণও। সম্প্রতি দেবের সহকারি রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে যেমন তৃণমূল প্রার্থীর কড়া সমালোচনা করেছেন হিরণ, তেমনই বিজেপি আবার যে কোনওভাবে জিততে চাইছে বলে পালটা অভিযোগ করেন দেব। সম্প্রতি আবার কেশপুরে বিজেপি নিজেদের কর্মীকে খুন করে তৃণমূলের উপরে দোষ চাপাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় দেবকে। আর এবার নাম না করে হিরণকে কটাক্ষ করলেন মমতাও।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ঘাটালে মূলত দুই অভিনেতার লড়াই হচ্ছে। অভিনেতা দেবের প্রতিপক্ষ অপর এক অভিনেতা হিরণ। নাম ঘোষণার পর থেকেই লড়াইতে নেমে পড়েছেন দুই প্রার্থী। চলছে লাগাতার মিটিং, মিছিল, জনসভ। একইসঙ্গে জারি রয়েছে রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি আক্রমণও। সম্প্রতি দেবের সহকারি রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে যেমন তৃণমূল প্রার্থীর কড়া সমালোচনা করেছেন হিরণ, তেমনই বিজেপি আবার যে কোনওভাবে জিততে চাইছে বলে পালটা অভিযোগ করেন দেব। সম্প্রতি আবার কেশপুরে বিজেপি নিজেদের কর্মীকে খুন করে তৃণমূলের উপরে দোষ চাপাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় দেবকে। আর এবার নাম না করে হিরণকে কটাক্ষ করলেন মমতাও।
এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বিষয়টিও ফের একবার উত্থাপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকারই করে দেবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন মমতা। আর এদিন তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিলে ১০০ শতাংশ কথা রাখি। আমি দেবকে বলেছি, আমার ২-৩ বছর লাগবে। ১০০০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট। একটু সময় লাগবে। তাড়াতাড়ি করলে হবে না। ও (দেব) বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সার্ভে করা শুরু করেছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ৩-৪ বছের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’ প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরেই আটকে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এটা সম্পন্ন হলে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্লাবনের সমস্যা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।