তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠিত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে তাঁদের দখলে যায় এই লোকসভা আসনে যদিও, এরপর ১৯৯৯ এবং ২০০৪-এ জয়ী হয়েছিল সিপিএম প্রার্থী। কিন্তু, ২০০৯ থেকে টানা চারটি লোকসভা ভোটে (২০১৩-র উপনির্বাচন-সহ) হাওড়া গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। এর মধ্যে শেষ তিন বার জয়ী প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসূনের অস্ত্র কী?
দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হ্যাটট্রিক হয়েই গিয়েছে। চতুর্থবার কি তিনি সংসদে যাবেন? রায় দেবেন হাওড়াবাসী। এই লোকসভা কেন্দ্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্পগুলি তাঁদের প্রচারের প্রধান অস্ত্র।
পুর ভোট নিয়ে অসন্তোষ
তবে, হাওড়া পুরসভার ভোট না হওয়া নিয়েও কিছু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটি রয়েছে হাওড়া পুরসভা ও বালি পুরসভা এলাকায়। ছয় বছর ধরে পুরভোট বকেয়া থাকায় পরিষেবা নিয়ে নানা জায়গায় অভিযোগ রয়েছে। বালি, উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া, শিবপুর ও দক্ষিণ হাওড়া এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের রায়দানই বড় ফ্যাক্টর হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া মধ্য, শিবপুর, হাওড়া দক্ষিণ, সাঁকরাইল এবং পাঁচলায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। সেটাই তাঁদের বড় আশার জায়গা।
বিজেপির প্রচারে একাধিক অভিযোগ
অন্যদিকে, হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিশিষ্ট হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী এবার বিজেপির নতুন প্রার্থী। এবার হাওড়ার ভূমিপুত্র-এর উপরেই ভরসা রেখেছে বিজেপি। শহরাঞ্চলগুলিতে বেআইনি নির্মাণ ও পুকুর ভরাটের মতো, বেআইনি টোটো দাপট, পুর পরিষেবা নিয়ে অসন্তোষ, একাধিক কল কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এরকম একাধিক ইস্যুতে শান দিচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলে থাকাকালীন পুর প্রধান ছিলেন রথীন। পুরনো দলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছেন ভোটের ময়দানে।
গঙ্গার নীচে মেট্রো খেলা ঘোরাবে?
বিজেপির তরফে আরও একটি বিষয়কে সামনে আনা হচ্ছে হাওড়াবাসীর সামনে। ভোটের মুখে গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর যাত্রাপথ সূচনা। নতুন এই পরিষেবার কৃতিত্ব নিয়ে ঝোল টেনে প্রচারে খামতি রাখতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে এসে এই মেট্রো পথের উদ্বোধন করে গিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী নিজে মেট্রোর যাত্রাপথেও প্রচার করেছেন। এই কেন্দ্রের জনমত গঙ্গার তলদেশেই লুকিয়ে? শোনা যাচ্ছে ফিসফাস।