এই রুটে মেট্রো আয় করেছে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অন্যদিকে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদার গ্রিন লাইন মেট্রো প্রায় ২১ লাখ যাত্রী বহন করেছে l মেট্রো রেলওয়ে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে এই লাইন থেকেও প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করেছে।
নতুন গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রোর যাত্রাপথে সবথেকে ব্যস্ততম স্টেশন হল হাওড়া মেট্রো স্টেশন। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, হাওড়া মেট্রো স্টেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে গত ২ মাসে সবচেয়ে ব্যস্ত স্টেশন। এই স্টেশনটি থেকে প্রায় ১২ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন, যা এই করিডোরের সমস্ত স্টেশনগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ যাত্রী সংখ্যা।
অন্যদিকে, ব্লু লাইন মেট্রোতে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের মধ্যে ৩ কোটি যাত্রী বহন করেছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। এই লাইনে মেট্রো রেল আয় করেছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। অরেঞ্জ লাইনে গত দুই মাসে ৫৫ হাজারেরও বেশি যাত্রী ভ্রমণ করেছেন এবং মেট্রো প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় করেছে বলে জানানো হয়েছে।
হাওড়া থেকে মেট্রো চালু হওয়ার পর থেকেই এই লাইনে মেট্রো চড়ার বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে দুই পাড়ের শহরবাসীর মধ্যে। স্কুল, কলেজ, অফিস যাত্রীরা দ্রুত যাতায়াতের জন্য এই মেট্রো রুট ব্যবহার করছেন। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং শহরতলির বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা এই রুট ব্যবহার করছেন স্বপ্ল ব্যয়ে এবং কম সময়ে যাতায়াত করার জন্য। গত দুই মাসে যাত্রীদের জন্য নির্বিঘ্ন ও মসৃণ যাত্রার পরিষেবা, স্মার্ট কার্ড, টোকেন, কাগজ ভিত্তিক QR টিকিট সহ নানা পরিষেবা যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে বলে মত মেট্রো রেলের।