Lok Sabha Election: ঘুম-ভাঙানিয়া! এক কলে কি জোশ পাবেন বুথ এজেন্টরা – lok sabha election wake up message on bjp booth agents phone


মণিপুষ্পক সেনগুপ্ত
এক ফোনেই ভাঙছে ঘুম! ফোনের উল্টো প্রান্ত থেকে হয়তো এরকম কোনও প্রশ্নই ধেয়ে আসছে, ‘হাউ ইস দ্য জোশ?’ চোখ কচলাতে কচলাতে বিজেপির বুথ এজেন্টও হয়তো বলছেন, ‘হাই দাদা!’ তারপর দে ছুট। পাঁচটা যে বাজল! সাতটায় ভোট শুরু!ভোটের দিন ঠিক সকাল পাঁচটায় একসঙ্গে বেজে উঠছে সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সব বুথ এজেন্টের মোবাইল। সবার ফোনের ডিসপ্লেতে ভেসে উঠছে একটাই কথা—‘অমিতাভ চক্রবর্তী কলিং’। আইভিআর (ইন্টার‍্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অমিতাভ চক্রবর্তী কলকাতা থেকে ফোন করেছেন বুথ এজেন্টদের। যাতে বুথে পৌঁছতে দেরি না-হয় বুথ এজেন্টদের।

সাতটায় ভোট শুরু হলেও সকাল ছ’টা থেকে যে ‘মক পোলিং’। তৈরি হয়ে বুথে যেতেও তো কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই ঠিক পাঁচটাতেই ফোন করে বুথ এজেন্টদের ঘুম ভাঙাচ্ছেন অমিতাভ। যদিও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, ঘুম ভাঙানোর জন্য নয়, ‘জোশ’ বাড়ানোর জন্যই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সব বুথ এজেন্টকে একসঙ্গে বার্তা দিচ্ছেন বিজেপির ওই শীর্ষ নেতা।

দলের এক রাজ্য সম্পাদকের কথায়, ‘আমাদের বুথ এজেন্টরা ভোটের দিন সকাল সাড়ে চারটেতেই ঘুম থেকে উঠে যান। অমিতাভদা ফোন করেন তাঁদের মনোবল বাড়ানোর জন্য।’ কারণটা ঘুম তাড়ানো হোক বা জোশ বাড়ানো, অমিতাভর ফোন করার খবর পৌঁছে গিয়েছে পঞ্চম দফার ভোটে বিজেপির বুথ এজেন্টদের কাছেও। বনগাঁর এক বিজেপি বুথ এজেন্টের কথায়, ‘সোমবার ঠিক পাঁচটায় অমিতাভদার ফোন আসবে শুনছি। আগের দফার ভোটগুলিতেও পার্টির বুথ এজেন্টদের কাছে ওঁর ফোন এসেছিল। আমি অবশ্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়েই রাখি। তার আগেই উঠে যাব। তবে দাদার ফোন এলে বাড়তি উৎসাহ তো পাবই।’

সূত্রের খবর, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই বঙ্গ-বিজেপির নেতৃত্ব এই ‘ঘুম ভাঙানো’র কৌশল নিয়েছে। সে সবার ভোটে বেশ কিছু বুথের এজেন্টরা ভোট শুরুর অনেকটা পরে বুথে পৌঁছেছিলেন বলে রিপোর্ট আসে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। ভোট-প্রচারের পরিশ্রমের ঠেলায় তাঁরা এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যে ভোটের দিন সকালে আর ঘুমই ভাঙতে চায়নি!

এ বার যাতে সেরকম কোনও ঘটনা না ঘটে তাই বুথ এজেন্টদের ফোনের ঘণ্টি বাজিয়ে কার্যত অ্যালার্ম-এর কাজটাই সারতে চাইছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দলের এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের দল সিদ্ধহস্ত। আইভিআর প্রযুক্তির সাহায্যে যদি একসঙ্গে হাজার জনকে ফোন করা যায়, তা হলে তার সুবিধা আমরা কেন ভোটের দিন কাজে লাগাব না?’

উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বুথ এজেন্টের কথায়, ‘ভোটের দিন অমিতাভ আমাদের সব বুথ এজেন্টকে ফোন করেছিলেন। তবে ওঁর কথা আমরা শুনতে পেলেও আমাদের দিক থেকে কিছু বলার সুযোগ ছিল না। উনি আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। ভোট চলাকালীন কোনও সমস্যা হলে হেল্পলাইন নম্বরে ফোনও করতে বলেছিলেন।’ তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই ‘ঘুম ভাঙানো’ কর্মসূচিকে কোনও গুরুত্ব দিতে চাইছে না।
দলের এক নেতার খোঁচা, ‘বিজেপি দলটাই তো ঘুমিয়ে আছে। কে কার ঘুম ভাঙাবে! তা ছাড়া রাজ্যের অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দেওয়ার মতো সাংগঠনিক শক্তিই বিজেপির নেই। যে ক’টা বুথে ওদের এজেন্ট আছে, তাঁদের উচিত সবার আগে বিজেপির রাজ্য নেতাদের ঘুম ভাঙানো।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *