West Bengal Teachers Recruitment Scam : রাজ্যের সব শিক্ষকদের নথি যাচাই, নয়া নির্দেশ শিক্ষা দফতরের – west bengal teachers have to submit documents as per education department notice


এসএসসির প্যানেল বাতিল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এর মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষকদের ‘যোগ্য’ প্রমাণ দিতে নথি চাইল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। রাজ্যে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষকের কাছে নথি যাচাইয়ের জন্য চাওয়া হয়েছে। এই মর্মে শিক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষা দফতর এই নির্দেশিকা দিয়েছে।কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?

নির্দেশ অনুযায়ী জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষককে আগামী ২৭ মের মধ্যে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু নথি ডিআইদের কাছে জমা করতে বলা হয়েছে। যদিও, শিক্ষা দফতরের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য থাকলেও নতুন করে শিক্ষকদের কাছ থেকে কেন তথ্য চাওয়া হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

পুরুলিয়া জেলার জন্য নির্দেশিকা

পুরুলিয়া জেলার জন্য নির্দেশিকাi

কীভাবে নথি পেশ?

শিক্ষা দফতরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ মের মধ্যে নথি জমা করতে হবে। এসএসসি-র শংসাপত্র, নিয়োগ পত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণ পত্র জমা করতে হবে। এসএসসি থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক না হলে দিতে হবে অ্যাপ্রুভাল মেমো। এগুলি জমা করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে। প্রধান শিক্ষকের কাছে এই সমস্ত নথির হার্ড কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আদালতের নোটিশ
প্রধান শিক্ষক মারফত সেই সমস্ত নথি ডিআই-দের কাছে জমা পড়বে। এরপর শিক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দিষ্ট পোর্টাল লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। iOMS নামে একটি পোর্টাল লগ ইন করতে হবে। সেখানে SSC Data Submission মেনুতে ক্লিক করতে হবে। সেখানেই সমস্ত তথ্য বা নথি জমা করতে হবে।

WB Teacher Recruitment Scam : যোগ্য অযোগ্য বিভাজন নিয়ে ইউটার্ন কমিশনের

এক্ষেত্রে ৩০-৩৫ বছর আগেও যাঁরা শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদেরকেও এই নথি জমা করতে হবে। যে সব শিক্ষকদের কিছুদিনের মধ্যে অবসর হওয়ার কথা রয়েছে, তাঁদেরকে সহ সকলকেই এই নথি জমা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল ২ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ, রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানান, শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীদের সমস্ত তথ্য শিক্ষা দফতরে থাকা সত্ত্বেও বিগত শতাব্দী থেকে নতুনভাবে জেলায় জেলায় সকল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিআইদের। বিশেষ কারও কারও ক্ষেত্রে যদি প্রশ্ন থাকে, তাহলে তার তদন্ত হোক আপত্তি নেই কিন্তু সকল শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীকে কাঠগোড়ায় তোলার মধ্য দিয়ে আসল দুর্নীতির জায়গাটিকে গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জনমানসে সার্বিকভাবে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের জনমানসে হেয় প্রতিপন্ন করার মধ্য দিয়ে পরোক্ষভাবে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *