কেন বারবার মে মাসে ঘূর্ণিঝড়?
এই বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর আবহাওয়াবিদ সোমনাথ দত্ত বলেন, ‘লো প্রেশার বা নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাকে বলা হয় সাইক্লোজেনেসিস। আর এই সাইক্লোজেনেসিস কতগুলি অনুকূল পরিস্থিতিতে তৈরি হয়, যার অন্যতম ওয়ার্ম সি সারফেস টেম্পারেচার। মার্চ এপ্রিল মে, অর্থাৎ গরম কালে সি সারফেস টেম্পারেচার বা সমুদ্রের জলের উপরের যে তাপমাত্রা, তা অনেকটা বেশি থাকে। আর শুধু বেশিই নয়, তা জলের প্রায় ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত থাকে। আর সেই কারণেই মার্চ, এপ্রিল, মে বা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কখনও কখনও জুন মাসেও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়।’ সেক্ষেত্রে এরপর বর্ষা চলে এলে পরিস্থিতি আর এমনটা থাকে না বলেও জানান সোমনাথ দত্ত।
বর্ষা নিয়ে বড় আপডেট
উল্লেখ্য চলতি মাসের শেষেই উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’, এই দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু পোস্ট ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর অবশ্য, অযথা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আগামী ২২ মে বুধবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপটি প্রথমে উত্তর পূর্ব দিকে এগোতে পারে এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই সিস্টেম আগামী শুক্রবার ২৪ মে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর চেয়ে বেশি এই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রবিবার ১৯ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর সহ নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই এবার বর্ষা প্রবেশ হতে পারে। এছাড়া কেরালাতেও নির্দিষ্ট সময়ের এক দিন আগে প্রবেশ করতে পারে মৌসুমী বায়ু। উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ফের রয়েছে ঝড়-বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। ভিজতে পারে কলকাতাও। সেক্ষেত্রে কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে এদিন।