এদিকে এদিন যাত্রীরা বলছেন, ‘বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। চালককে ধন্যবাদ।’ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন রেলের কর্তারা। জানা গিয়েছে, ওই মোটরভ্যানের গাড়ি চালক বিপদ বুঝে নেমে যান। ফলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ট্রেনটি সজোরে ওই ভ্যানটিতে আঘাত করে। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ওই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
অনেককেই ট্রেন থেকে নেমে হাঁটাহাটি করতে দেখা যায়। এক যাত্রী বলেন, ‘আমি দিঘা যাচ্ছিলাম। পরিবার সঙ্গে রয়েছে। একটি বাচ্চাও রয়েছে আমাদের সঙ্গে। গরমে নাজেহাল অবস্থা। খুবই সমস্যায় পড়েছি। তবে একটা বিষয় না বলে পারছি না যে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। ভগবানের কৃপা যে কারও কিছু হয়নি। প্রচণ্ড জোরে একটা ঝাঁকুনি অনুভব করি। তবে কেউ আঘাত পায়নি। এখন সকলকে নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে চাই।’ এই গোটা ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে যাত্রীরা। দ্রুত ট্রেনটি চালু হোক এমনটাই চাইছেন যাত্রীরা।
অপর এক যাত্রী বলেন, ‘আমরা প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। শুনলাম ট্রেনের সামনের দিকটা মুচড়ে গিয়েছে। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে কখন ট্রেন ছাড়বে তা বুঝে উঠতে পারছি না। খুব দ্রুত এই ট্রেন চালু হোক, এমনটাই চাইছি।’ রেল সূত্রে খবর, পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হচ্ছে। লাইন সচল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।