North Dinajpur News,রায়গঞ্জে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গোয়ালপোখরেও শ্মশানে চাঞ্চল্যকর ঘটনা – male and female body have recovered from raiganj north dinajpur


যুগলের পচাগলা ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছড়াল ব্যপক চাঞ্চল্য। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত ৮ নম্বর বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বারদুয়ারি এলাকার মধুপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম শেখর মণ্ডল ও মাম্পি শিকদার। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠান হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ডালখোলা থানার অন্তর্গত হাসান এলাকার বাসিন্দা বাপি বায়েনের সঙ্গে চাকুলিয়ার বাসিন্দা মাম্পি শিকদারের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি দেড় বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বাপি দুবাইতে সাটারিং-এর কাজ করেন। আরও জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে হাসান গ্রামের বাসিন্দা শেখর মণ্ডলের সঙ্গে মাম্পি শিকদারের ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার মাম্পি বাড়ি থেকে বের হন। পরবর্তী সময়ে বাড়িতে না ফেরায় মাম্পির শ্বশুরবাড়ি লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজ না মেলায় ডালখোলা থানায় একটি মিসিং ডায়েরিও করা হয়।

এরপর রবিবার সকালে বারোদুয়ারি এলাকার মধুপুর গ্রামের একটি বাড়ির বন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকাবাসীরা। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বাড়িতে ঢুকে দেখা যায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দুজনের দেহ ঝুলছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঠিক কী কারনে এই ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

এদিকে জেলারই গোয়ালপোখর থানার ধরমপুরে বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি শ্মশানে অর্ধনগ্ন পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে অচৈতন্য অবস্থায় আরও ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা। অচৈতন্য দু’জনকে তড়িঘড়ি লোধন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে গোয়ালপোখর থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। কী ভাবে মৃতদেহটি শ্মশানে এল তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও বিশেষ কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। বা যোগাযোগ প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত ব্যক্তির বয়স পঞ্চাশের বেশি। পাশাপাশি অসুস্থরা এখনও বয়ান দেওয়ার অবস্থায় নেই। প্রত্যেকেরই ছবি বিহার পুলিশের কাছেও পাঠান হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *