হিট, সুপারহিটের অভাব ছিল না। এ ছাড়াও হিন্দি, তামিল, তেলুগুতেও ছবি করেছেন। অমিতাভ বচ্চনকে যেমন স্ক্রিনে পেয়েছেন, তেমনই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর সঙ্গেও অভিনয় করেছেন। ঈর্ষা করার মতো তাঁর সেলুলয়েডের কেরিয়ার।

২০১০ সাল থেকে টিভির পর্দায় আর এক ইনিংস শুরু করেন রচনা। দিদি নম্বর ওয়ান। সেলুলয়েডের মতো টিভিতেও সমান সফল হন। এ বার তাঁর আর এক ইনিংস রাজনীতি। এ বার কি তবে সাফল্যের হ্যাটট্রিক হবে? দিদি নম্বর ওয়ান অবশ্য এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখছেন দিদিতেই। প্রচারে বেরিয়ে নিয়মিত বলছেন, ‘আমায় এখানে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। আমি দিদির দূত।’
২০১৯ সালে হুগলি কেন্দ্র বিজেপির কাছে হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। সেই কেন্দ্র পুনরুদ্ধারে এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনার লড়াইটা সেলুলয়েডের দুনিয়ায় তাঁর সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সে প্রসঙ্গে রচনা বললেন, ‘আমরা পেশাগত জীবনে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। এক সঙ্গে অভিনয় করেছি। কিন্তু ওর রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা। ও সাংসদ হয়ে এলাকার কোনও উন্নয়নই করেনি বলে লোকজন অভিযোগ করছে। ওর দল বিজেপির কারণে মানুষ আর ওকে চাইছে না। তাই এ বার জয় নিয়ে আমার কোনও সংশয় নেই।’
সিনেমায় ও টেলিভিশনে কাজের সুবাদে বহু ভাষাভাষী ও নানা লোকজনের সান্নিধ্যে এসেছেন রচনা। রাজনীতির ময়দানে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি। তা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো রয়েইছেন তাঁকে গাইড করার জন্য। এই বিশ্বাস ও ভরসাতেই এগিয়ে চলেছেন রচনা।