Rachna Banerjee : দই-কালো ধোঁয়া মিমেও হাসিমুখে – lok sabha election 2024 profile of hooghly tmc candidate rachana banerjee


এই সময়, চুঁচুড়া: ভোটের ময়দানে এসেই সমালোচনার আঁচ টের পেতে দেরি হয়নি দিদি নম্বর ওয়ানের। কখনও সিঙ্গুরের দই তো কল কারখানার ধোঁয়া নিয়ে রচনার মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তার চেয়েও বেশি হয়েছে মিম। ফেসবুকের পেজ ভরে উঠেছে নানা রসিকতায়। সফল নায়িকা, পরবর্তীতে জনপ্রিয় টিভি শোয়ের সফল সঞ্চালিকা রচনা এ সবে মোটেই অভ্যস্ত নন। স্বাভাবিক ছিল তাঁর কুঁকড়ে যাওয়া অথবা প্রতি আক্রমণে যাওয়া।কিন্তু রাজনীতির ময়দানে একেবারে অনভিজ্ঞ হয়েও রচনা সবকিছু সামলেছেন হাসিমুখে। এক মুহূর্তের জন্যেও তাঁকে রাগতে দেখেননি কেউ। চার তারিখের রেজাল্ট যাই হোক, রচনার এই বিশেষ গুণটি নজর কেড়েছে অনেকেরই। ১৯৯৪ সালে মিস ক্যালকাটা হয়েছিলেন রচনা। প্রথম ছবি সুখেন দাসের পরিচালনায়। এরপর শুধু বাংলা নয় ওড়িয়া ভাষাতেও দাপটের সঙ্গে ছবি করেছেন।

হিট, সুপারহিটের অভাব ছিল না। এ ছাড়াও হিন্দি, তামিল, তেলুগুতেও ছবি করেছেন। অমিতাভ বচ্চনকে যেমন স্ক্রিনে পেয়েছেন, তেমনই দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার সুপারস্টার চিরঞ্জীবীর সঙ্গেও অভিনয় করেছেন। ঈর্ষা করার মতো তাঁর সেলুলয়েডের কেরিয়ার।

তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রোফাইল

২০১০ সাল থেকে টিভির পর্দায় আর এক ইনিংস শুরু করেন রচনা। দিদি নম্বর ওয়ান। সেলুলয়েডের মতো টিভিতেও সমান সফল হন। এ বার তাঁর আর এক ইনিংস রাজনীতি। এ বার কি তবে সাফল্যের হ্যাটট্রিক হবে? দিদি নম্বর ওয়ান অবশ্য এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখছেন দিদিতেই। প্রচারে বেরিয়ে নিয়মিত বলছেন, ‘আমায় এখানে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। আমি দিদির দূত।’

২০১৯ সালে হুগলি কেন্দ্র বিজেপির কাছে হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। সেই কেন্দ্র পুনরুদ্ধারে এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনার লড়াইটা সেলুলয়েডের দুনিয়ায় তাঁর সহকর্মী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সে প্রসঙ্গে রচনা বললেন, ‘আমরা পেশাগত জীবনে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। এক সঙ্গে অভিনয় করেছি। কিন্তু ওর রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা। ও সাংসদ হয়ে এলাকার কোনও উন্নয়নই করেনি বলে লোকজন অভিযোগ করছে। ওর দল বিজেপির কারণে মানুষ আর ওকে চাইছে না। তাই এ বার জয় নিয়ে আমার কোনও সংশয় নেই।’

সিনেমায় ও টেলিভিশনে কাজের সুবাদে বহু ভাষাভাষী ও নানা লোকজনের সান্নিধ্যে এসেছেন রচনা। রাজনীতির ময়দানে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি। তা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো রয়েইছেন তাঁকে গাইড করার জন্য। এই বিশ্বাস ও ভরসাতেই এগিয়ে চলেছেন রচনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *