Trinamool Congress : মোদীর গ্যারান্টি সম্পূর্ণ ‘মিথ্যাচার’, কেন্দ্র কোথায় পিছিয়ে? ১০টি যুক্তি অমিতের – amit mitra slams bjp government over several socio economic claim on west bengal


লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা, অপরাধমূলক ঘটনা সহ একাধিক প্রকল্পে রাজ্যের অবস্থানের বিষয়ে কেন্দ্রের ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে জবাব দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা অমিত মিত্র। ১০ দফা পয়েন্ট তুলে ধরে ‘মোদীর গ্যারান্টি’কে তুলোধোনা অমিত মিত্রের।মোদী যে গ্যারান্টি দেন, সেটা আদতে ‘৪২০’ বলে কটাক্ষ অমিত মিত্রর। অমিত মিত্র মোট দশটি পয়েন্ট তুলে ধরেন। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে অমিত মিত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী বলছেন নারী শক্তির কথা। অথচ, দেশে মহিলাদের প্রতি অপরাধপ্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতি ঘণ্টায় ৫১ জন মহিলা অপরাধের শিকার হচ্ছেন।

এরপরেই তুলে আনেন বেকারত্বের কথা। তাঁর কথায়, সিএমআইয়ের তথ্য বলছে, দেশে যতজন বেকার রয়েছে, তার মধ্যে ৮৩ শতাংশ রয়েছেন যুবক-যুবতী। এঁদের মধ্যে শিক্ষিত যুবক-যুবতীর সংখ্যা ৬৬ শতাংশ। বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ ছেলে-মেয়েরা স্কিল ইন্ডিয়ায় ভোকেশনাল ট্রেনিং পাচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।

‘তৃণমূল ছোটখাটো ভুল করলে থাপ্পড় দেবেন!’ আরামবাগের সভা থেকে মমতা

রাজ্যের শিল্পায়ন নিয়েও আওয়াজ তোলেন বিরোধীরা। অথচ, দেশে পরিবারের আর্থিক সঞ্চয় সবচেয়ে নিম্ন জায়গায় পৌঁছেছে ৫০ বছরে। বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে, রাজ্য থেকে অনেক শিল্পপতি চলে গিয়েছেন। অমিত মিত্র দাবি করেন, দেশ থেকে ভালো লগ্নিকারী ব্যবসায়িকদের মধ্যে ৩৫ হাজার জন ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়ে অন্য দেশে চলে গিয়েছেন। রাজ্যের ঋণ নিয়েও সুর চড়াতে থাকেন বিরোধীরা। অমিত মিত্রর দাবি, সারা বিশ্ব থেকে ধার নিচ্ছে কেন্দ্র। দেশের ঋণের পরিমাণ ১০ বছরে ১০০ শতাংশ হারে বেড়েছে। ৩ লাখ ৬৫ হাজার কোটি ছিল ১৩-১৪ সালে। সেটা ২০২২-২৩ এ বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।

Trinamool Congress : মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য, অভিজিতের বিরুদ্ধে কমিশনকে পদক্ষেপের আর্জি তৃণমূলের
এছাড়াও, দেশের চাষিরা কেন MSP পাচ্ছেন না, দেশে কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা কেন বাড়ল? দেশে ‘হেট স্পিচ’ (কুরুচিকর বক্তব্য) ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। ধর্মীয় অসংহতিমূলক কথাবার্তা বাড়ছে। মণিপুর-এ নারী নির্যাতনের এত বড় ঘটনা ঘটে গেলেও, সেখানে গেলেন না প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের অন্যতম সেরা প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে হেয় করছেন বিরোধী দলের অনেকেই। এরপরেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে মাত্র ১০০ টাকা বলছেন। রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি নিয়েও নির্দিষ্ট হিসাব দেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, ঋণের পরিমাপ মাপা হয় জিডিপি রেট ধরে। সরকারে আসার সময় ঋণের সঙ্গে ৪১-৪২ শতাংশ জিডিপি অনুপাত ছিল। সেটা এখন ৩০-৩৪ শতাংশ হয়েছে। রাজ্য প্রায় ১০ শতাংশ সেই অনুপাত কমাতে পেরেছে বলে দাবি করেন তিনি। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এর আগে সংসদেএকাধিক প্রশ্ন করা হলেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর উত্তর দেন না। সেই কারণেই মোদীর গ্যারান্টি ‘৪২০’ বলে দাবি করেন অমিত মিত্র।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *