পুলিশ একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই গৃহবধূ জানান, রবিবার সকালে আমি বাড়ি থেকে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। সেই সময় নির্বাচনের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান সেই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জানান, সেই সময় এক জওয়ান যেচে আলাপ করেন।
গৃহবধূ জানান, এরপর তিনি মহিষরেখা ব্রিজের কাছে একটি মন্দিরে গেলে দুই জওয়ান সেখানে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, এক জওয়ান মন্দিরের ছবি তোলার পাশাপাশি আমার ছবি তোলার চেষ্টা করেন। তবে আমি বাধা দেওয়ায় তিনি আর আমার ছবি তোলেননি। গৃহবধূর অভিযোগ, ‘এরপর অভিযুক্ত জওয়ান আচমকাই আমার কাছে চলে আসে এবং আমার কাঁধে হাত দিয়ে আমার শ্লীলতাহানি করে। আমি এলাকার লোকজনদের বিষয়টি জানালে তাঁরা অভিযুক্ত জওয়ানকে ধরে ফেলে।’
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জওয়ানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গৃহবধূ উলুবেড়িয়া থানায় এসে অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন অভিযুক্ত জওয়ানের শাস্তির দাবি করেন ওই গৃহবধূ। ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে কদর্য ভাষায় যখন অসম্মান করা হয়, সন্দেশখালির নারীদের অসম্মানের ঘটনায় নীরব থাকেন প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার উলুবেড়িয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দ্বারা মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।’
অন্যদিকে এই ঘটনায় উলুবেড়িয় লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাজদা আহমেদের নির্বাচনী এজেন্ট মহঃ জহওর রাহী পুলিশ অবজারভারকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালীয়া জানান, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।