অন্যদিকে, বনগাঁ লোকসভার চরকাঁচড়াপাড়া ১৩৩ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টের বেশ কিছুক্ষণ ধরে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ফোন নম্বরও সুইচড অফ শোনায়। তৃণমূল তাঁকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে সেই বুথেও যান শান্তনু। একইসঙ্গে ওই বুথেই তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের ছবি বুকে লাগান অবস্থায় তৃণমূলের এক এজেন্টকে দেখা যায়। তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী। এদিকে কাটাগঞ্জ গোকুলপুর আদর্শ শিক্ষায়তন হাইস্কুলের বুথ নম্বর ২৭১ নম্বর বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি। খবর পেয়ে সেই বুথেও পৌঁছন বিজেপির শান্তনু। সেখানে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা এবং পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভুল ভাবে পরিচালনা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী।
উলটো দিকে আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। বনগাঁর কুমুদিনী গার্লস হাই স্কুলে ২৪৫ ও ২৪৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল প্রার্থী। ওই একই বিদ্যালয়ে ২৫০ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন বিশ্বজিৎ। বুথে ভোট প্রক্রিয়া দেখতে ঢোকার সময় তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য বিশ্বজিৎ দাস বুথের ভিতরে ঢোকার তাঁর আইনি অধিকার আছে বলার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে ঢুকতে দেন। বিশ্বজিৎ আরও অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট কেন্দ্র থেকে বেছে বেছে তৃণমূলকর্মী সমর্থকদের বের করে দিচ্ছে বলে বনগাঁর পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। ওই ভোট কেন্দ্র থেকে বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও এসপি-র কাছে আবেদন জানান বিশ্বজিৎ। কার্যত দিনভর অভিযোগ-পালটা অভিযোগের মধ্যে দিয়েই সম্পন্ন হয় বনগাঁ লোকসবা কেন্দ্রের নির্বাচন।