অসীমার সঙ্গে বাকযুদ্ধ
ধনেখালি এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রর বাড়ির কাছে লকেট চট্টোপাধ্যায় পৌঁছতেই ছড়ায় উত্তেজনা। লকেটকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীদের একাংশ। তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন অনেকে। এলাকার বিধায়ক অসীমা পাত্রর সঙ্গে সরাসরি তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায় লকেটের। সেই সময় অসীমা পাত্রকে উদ্দেশ্য করে ‘চোর’ মন্তব্য করেন লকেট চট্টোপধ্যায়। পালটা লকেটের উদ্দেশে ধেয়ে আসে ‘ডাকাত’ মন্তব্য। স্লোগান-পালটা স্লোগানে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র পরিস্থিতি।
এদিন ধনেখালির বিধানসভার দশঘড়া ৮৩ নম্বর বুথেও ছড়ায় তীব্র উত্তেজনা। সেখানে এজেন্ট হিসেবে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ওই ব্যক্তি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বা উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি বলেই দাবি লকেটের। এরপরেই তাঁকে কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বুথ থেকে বের করে দেন বিজেপি প্রার্থী। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও ব্যাপকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
লকেটকে জুতো প্রদর্শন
ভোটের দিন বিকেলে ভদ্রেশ্বরের একটি বুথে জুতোও দেখান হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন ভদ্রেশ্বর স্টেশন বাজার সারদাপল্লিক রায়পাড়া প্রাথমিক স্কুলে পৌঁছন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে লকেটকে দেখেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। ওঠে জয় বাংলা স্লোগান। পালটা সেখানে হাজির হন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরাও। জয় বাংলা স্লোগানের পালটা ওঠে জয় শ্রীরাম স্লোগান। এরই মাঝে হঠাৎ একাধিক মহিলাকে লকেটের উদ্দেশে জুতো প্রদর্শন করতে দেখা যায়। তাঁদের অভিযোগ, গত ৫ বছরে একবারও আসেননি লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখন ভোটের সময় এসে গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন। এখানেই শেষ নয়, জগৎনগর বোর্ড জুনিয়ার বিদ্যালয়ে ১২৫ নম্বর বুথেও লকেট যাওয়ার পর তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এক জায়গায় আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও বচসায় জড়াতে দেখা যায় লকেটকে।
লকেট নিজে অবশ্য এই সমস্ত বিক্ষোভকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাজনৈতিকমহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে, এর আগেও লকেটকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটের দিন আবারও উঠল সেই একই অভিযোগ। তবে এহেন অভিযোগের প্রভাব ভোটবাক্সে পড়ল কি না, তা অবশ্য বোঝা যাবে ফল ঘোষণার দিন।