মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণের সময় তিনি চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করেন। মহিলার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ শুনে ওই আইটিবিপি অফিসারকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি, সেখানেই ডিউটিরত আরও তিনজন আইটিবিপি জওয়ানকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থল থেকে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত জানান, তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে। বাংলায় প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভোট পরিচালনা করার জন্য। অথচ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ সেই শীতলকুচি মডেল অনুসরণ করছে। কোথাও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে মারছে, কোথাও আবার বাংলার মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মহিলাদের সঙ্গে শ্লীলতাহানি করার একটি প্রবণতা রয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের… এঁরা যেখানে যাচ্ছে, মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে। উলুবেড়িয়াতে হল, এরপর জাঙ্গিপাড়াতে হল। এটা ঠিক না, যেই রক্ষক সেই ভক্ষক হয়ে গিয়েছে।’
এই একই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়াতেও। সেখানেও প্রাতঃভ্রমণ করতে বের হওয়া এক মহিলার সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ ওঠে এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করেছে। উলুবেড়িয়ায় ভোটের ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানকে ইতিমধ্যেই ডিউটি থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।