আবাসনে বোমাবাজি
এদিন বেলা গড়াতেই হাওড়ার একটি আবাসনে বোমাবাজি খবর পাওয়া যায়। ভোটারদের আটকাতে দুই রাজনৈতিক দল আবাসনের মূল গেট বন্ধ করিয়ে দেয় বলে অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে। এমনকি, গেট খুললে নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। আবেদনের গেট প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল। পরে খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
বাদ যায়নি হাওড়ার গ্রামাঞ্চলও। এদিন দুপুরের দিকে ডোমজুড়ের বাঁকরা হাই ইসলামিয়া হাই স্কুলের বুথের সামনে জমায়েত লক্ষ্য করা যায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে। এটি আবার শ্রীরামপুর কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। পরে এই বুথে হাজির হন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ইচ্ছে করে সেখানে ভোটে দেরি করানো হচ্ছে বলে দাবি করেন কল্যাণ।
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ
হাওড়ার ষষ্ঠীতলা এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই দলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এক রাজনৈতিক কর্মী সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয় সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহতও হন। পুলিশ এবং র্যাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন বেলার দিকে বালির শান্তরাম স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, এই বুথে মহিলা ভোটারদের বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এমনকি বুথের ভেতর এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যান বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান হবে বলেও জানানো হয়।
উলুবেড়িয়ায় কেমন ভোট?
অন্যদিকে, হাওড়া জেলার আরেকটি লোকসভা কেন্দ্র উলুবেড়িয়াতে মোটের উপর শান্তিতে ভোটপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের দিন বড় কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। উলুবেড়িয়ায় নির্বাচনের ডিউটিতে আসা এক জওয়ানের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল রবিবার। সেই জওয়ানকে ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। উলুবেড়িয়া পূর্বকেন্দ্রের উলুবেড়িয়া হাইস্কুলের 221 নমবর বুথে ইভিএম যন্ত্র বিগড়ে যায়। ফলে ভোট শুরু হতে প্রায় দুঘন্টা দেরি হয়। ভোট দিতে এসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী অরুণউদয় পাল চৌধুরী। তাঁরও ভোট দিতে দেরি হয়ে যায়। শুধু এটি নয়, সব মিলিয়ে 30 টি বুথে ইভিএম বিগড়ে যায়। এছাড়া বাগনান বিধানসভা কেন্দ্রের কাজিরচক প্রাথমিক স্কুলে তৃণমূল-বিজেপির গোলমালে দু’জন জখম হন।