Malda News,স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিককে ‘বিয়ে’, ঘরে ঠাঁই না পেয়ে ধরনায় তরুণী, মারধরেরও অভিযোগ – malda girl alleges that she has been beaten by her second husband family


প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে প্রেমিকের হাত ধরেছিলেন তরুণী! কিন্তু প্রেমিক তাঁকে ঘরে তুলতে নারাজ। প্রতিবাদে ধরনায় বসেন তরুণী। ধরনা তুলে নিতে তরুণীকে মারধর, যার জেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের কতোল গ্রামে।শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশাধিকার ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে হাতে বিয়ের প্রমাণপত্র নিয়ে ধরনায় বসেন এক যুবতী। বাড়ির সামনে থেকে ধর্না তুলে নিতে যুবতীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে ছেলের মা সহ পরিবারের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। নিগ্রহের জেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

ওই তরুণী জানাচ্ছেন, যে বাড়ির সামনে তিনি ধর্না চালাচ্ছেন সেই বাড়ির ছেলে বাপি আলম মাস খানেক আগে ঈদের দিন তাঁকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু বিয়ে করার পরেও তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলতে চাইছেন না। ছেলে ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। বাপি ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করে নিলেও পরিবারের চাপে যুবতীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর বাড়ি বিহারের কটিহার জেলায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের গিধীনপুকুর গ্রামে দাদুর বাড়িতে থাকতেন। মাস চারেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাশের কতোল গ্রামের ট্রাক্টর চালক বাপির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাঁর। যুবকের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে তিনি প্রথম পক্ষের স্বামীকে ডিভোর্স পর্যন্ত দেন। এরপরে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন. এমনকী সঙ্গে বসবাস করেছেন বলেও দাবি ওই তরুণীর। কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে ওই যুবক ও তাঁর পরিবার বেঁকে বসে বলে অভিযোগ। নানারকম টালবাহানা করতে থাকে। এরপরই ওই যুবতী ওই যুবকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করেন ছেলের মা নিলুফা বিবি সহ পরিবারের লোকজন।

যুবতী বলেন, ‘মুসলিম আইন অনুযায়ী আমাকে বিয়ে করেছে বাপি। আমার হাতে বিয়ের প্রমাণ পত্র আছে। আমরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। বাপি কথা দিয়েছিল বিয়ের কয়েকদিন পর বাড়িতে নিয়ে যাবে। এখন পরিবারের চাপে ঘরে তুলতে চাইছে না। ছেলের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলে ছেলের মা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করেছে। আমার পরনের কাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে দিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *