এদিনের সভায় মমতা বলেন, ‘এখন তো খাওয়ারও সময় পাই না। খাই একবার রাতে। তখন যদি তেলেভাজা আর মুড়ি খাই, তাহলে খাওয়াটাই গেল। এমনিতেই এখন ভাত খাই না, রুটি খাই না। কিছু তো খেতে হবে।’
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এর আগে বহুবার পাঁশকুড়ায় আসতে হয়েছে মমতাকে। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন অনেকবার সেখানে গিয়েছিলেন, সেই কথা তুলে ধরেন এদিনের মঞ্চ থেকে। মমতা বলেন, ‘আগে কেন বার বার পাশকুঁড়া আসতাম জানেন? আপনাদের মসজিদ, যেটা রাস্তার উপর ছিল, রাস্তা চওড়া ছিল না, দু’পাশে অনেক দোকান ছিল, বাড়ি ছিল। এখানে আসলে আমাকে এক বার দাঁড়াতেই হত। মেদিনীপুর ঢুকলেই দাঁড়াতে হত।’ এরপরেই নিজের পুরনো দিনের দলের কর্মীদের নাম মুখে শোনা যায় তাঁর মুখে। মমতা বলেন, ‘এক জনের মা তাঁকে কাজু বাদাম ভেজে খাওয়াতেন। অসিত, নন্দ সাহায্য করেছেন। ওঁরা আমার জন্য তেলেভাজা, মুড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতো।’ দলের পুরনো কর্মীদের নিয়ে মমতা বলেন, ‘নন্দ, অসিত ভাবছেন আজকের লোক ওঁরা? আমি যবে থেকে ছাত্র রাজনীতি করছি, তবে থেকে আছেন ওঁরা।’ এদিনের সভা থেকে বেশিরভাগ সময়টাই পুরনো দিনের কথা দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে গতবারের জয়ী সাংসদ অভিনেতা দেবকেই এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর সমর্থনেই এদিনের সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় স্বল্প বক্তৃতায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন সভামঞ্চ থেকে। তবে আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ থাকার জন্য সভা কিছুটা কাটছাঁট করতে হয়। বৃষ্টি-ঝড়ের আশঙ্কায় দ্রুত দর্শকদের বাড়ি ফেরার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।