Rachana Banerjee,’বিজেপির কালচার’ দেখে রাগ, ভোটের হাওয়ায় দিনভর অন্য দিদি নম্বর ১-কে পেল হুগলি – rachana banerjee star candidate of hooghly lok sabha election how she spend her day on the day of election


ভোটময়দানে আনকোরা, কিন্তু ধারে ভারে তিনি হেভিওয়েট। বঙ্গে অন্যতম চর্চিত প্রার্থী রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই তিনি হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে কার্যত ‘পড়েছিলেন’। সোমবার হুগলি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন। এদিন ভোট প্রার্থী হিসেবে প্রথম পরীক্ষা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সারাদিন কী করলেন ‘দিদি নং ১’?

ভোট-প্রতাভ

এদিন সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ চুঁচুড়া ময়ূরপঙ্খী ঘাট সংলগ্ন আবাসন থেকে বার হন ‘পরীক্ষার্থী’ রচনা। এরপর ঘুরে দেখেন বিভিন্ন বুথ। সকাল সাতটা নাগাদ বলাগড়ে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে ভাস্তারা গ্রামে একটি বুথে যান। সেখানে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। সেখান থেকে তিনি সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ যান শ্রীপুর বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের টিনচরা গ্রামে।

রচনার ‘রুদ্রমূর্তি’

একই অঙ্গে অনেক রূপ। প্রচারে বেরিয়ে বেশিরভাগ সময়ই হাসিমুখে সকলের সঙ্গে মিশেছেন রচনা। কিন্তু, দলীয় ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগেও কি চুপ থাকা যায়! শান্ত ভাবে পরিস্থিতি সামলেও কড়া ভাষায় BJP-কে আক্রমণ করেন রচনা। সোমবার বেলা হালকা গড়িয়েছে। দলীয় কর্মীরা তাঁকে জানান, তৃণমূল লাগানো ফ্ল্যাগ ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান রচনা। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা বিজেপির কালচার’।

‘আবদার করলে কি সেলফি তুলব না!’

তিনি তারকা! আর তারকাকে সেলফি বন্দি করার ইচ্ছে কি আর দমিয়ে রাখা যায়! সাধারণ মানুষের আবদার হাসিমুখে সামলালেন তিনি। সকাল দশটা নাগাদ পান্ডুয়ায় আসেন রচনা। পান্ডুয়া শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয় ঢোকার সময়ই সাধারণ মানুষ তাঁকে দেখে সেলফি তোলার আবদার করেন। পরে তিনি সোজা বুথের ভেতরে যান এবং সেখানে তিনি অভিযোগ করেন বুথে লাইট কম রয়েছে। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন যাতে তাড়াতাড়ি পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা করা হয়।

আলো-আঁধারি!

এরপরে সেখান থেকে তিনি সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সরাই তিন্না পঞ্চায়েতের তিন্না কলোনি এলাকায় একটি বুথে যান। সেখানেও তারকা প্রার্থীকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। ভোট ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা , সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে খোঁজ নেন তিনি।

ভোট দিতে সকাল থেকেই পাণ্ডুয়ায় লম্বা লাইন

সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান বৈঁচিগ্রামের চৌবারার একটি বুথে। সেখানে গিয়েও তিনি একই অভিযোগ করেন, পর্যাপ্ত আলো নেই আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বয়স্ক মানুষ যাঁরা রয়েছেন তাঁরা ঠিকমতো দেখতে পাবেন না।

চ্যালেঞ্জ! ‘ব্রিং ইট অন’

যে দুটি বুথে লকেট চট্টোপাধ্যায় যাওয়ার পর গন্ডগোল হয়েছিল সেই বুথেই যান রচনা। প্রার্থীকে পেয়ে স্বভাবতই খুশি হন দলীয় কর্মীরা। উচ্ছ্বাস দেখা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি যান ধনিয়াখালীর বাবনানে। সেখানে গিয়েও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।

আহারে রচনা

দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ গুরাপের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি ধাবাতে দুপুরের আহার সারেন এই তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর তিনি বেরিয়ে আবার যান বাগনানে। দাদপুরের বেতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান বিকেল চারটে নাগাদ। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নিজে বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *