পঞ্চম দফার ভোটে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। বাস্তবে হলও তাই। বেলার দিকে ঝড়বৃষ্টিতে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে হয়ে গেল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের আশেপাশের অস্থায়ী ছাউনি ও রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলি। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বাগদার মশ্যমপুর এলাকায়।জানা গিয়েছে, এদিন হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। যার জেরে আতঙ্কে বুথ ছাড়লেন ভোটাররা। ওই বুথের ভোটাররা জানাচ্ছেন, এদিন সকাল থেকেই একপ্রকার নির্বিঘ্নেই ভোট প্রক্রিয়া চলছিল ওই জায়গায়। হঠাৎই প্রবল বেগে হাওয়া বইতে থাকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। যার জেরে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে বাগদার মশ্যমপুর ভোট কেন্দ্রের আশেপাশের একাধিক অস্থায়ী ছাউনি ও রাজনৈতিক দলের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রবল বেগে হাওয়া বইতে থাকে। ঝড়ের দাপটে ভোট কেন্দ্র ছেড়ে যে যার মত যে যার মত দৌড়ে পালান ভোটাররা। কিছু ভোটার ভোট কেন্দ্রের মধ্যেই আশ্রয় নেই।
অন্যদিকে গাইঘাটার ঝাউডাঙা পঞ্চায়েতের আংরায়েলের ২১৭ নম্বর বুথে প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ পর্ব। এই লোকসভার অন্তর্গত কল্যাণীতেও এদিন বেলার দিকে ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে দেখা যায়। অন্যদিকে বৃষ্টি নেমেছে হাওড়াতেও।
অন্যদিকে গাইঘাটার ঝাউডাঙা পঞ্চায়েতের আংরায়েলের ২১৭ নম্বর বুথে প্রবল ঝড় বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ পর্ব। এই লোকসভার অন্তর্গত কল্যাণীতেও এদিন বেলার দিকে ঝেঁপে বৃষ্টি নামতে দেখা যায়। অন্যদিকে বৃষ্টি নেমেছে হাওড়াতেও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, আজ সোমবার পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে কালবৈশাখী ঝড় ও সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। উল্লিখিত জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। আর শুধু এই জেলাগুলিতে নয়, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয় আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে। সেক্ষেত্রে বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। চলতি সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকচে বলে জানা গিয়েছে।
আরও জানতে রিফ্রেশ করুন…