কংগ্রেস এনেছিল সু-সময়: নেপাল – lok sabha election 2024 profile of purulia congress candidate nepal mahato


এই সময়: বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘কয়েকটি ব্লকে ছাড়া পুরুলিয়ায় কংগ্রসের সংগঠন কোথায়? ওরা লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ময়দানেই নেই!’ তবে এক সময়ের রাজনৈতিক ‘শক্র’ বলে পরিচিত বামেদের সংগঠনের উপরে ভরসা রাখছেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো। তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কথাও।নেপালের বাবা দেবেন মাহাতো ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ। ছোটবেলা থেকে দিল্লির রাজনীতির সঙ্গেও পরিচিত নেপাল। চল্লিশ বছরেরও বেশি রাজনৈতিক জীবনে চারবার বিধায়ক হয়েছেন। ২০০১ সাল থেকে ঝালদা এবং পরে বাঘমুণ্ডি বিধানসভা থেকে পরপর জয়ের মুকুট উঠেছে মাথায়। তবুও ‘কাঁটা’ রয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাঘমুণ্ডি আসনে তিনি তৃণমূলের কাছে পরাজয়ই শুধু হননি, ভোটের দৌড়ে তৃতীয় হয়েছিলেন।

নেপাল মাহাতোর আর একটা পরিচয় তিনি শিক্ষক। হারলেও তাঁর মনোবলে চিড় ধরেনি। জয় নিয়ে আশাবাদী নেপাল বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বামেদের নেতাকর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। বিজেপি এবং তৃণমূল নিয়ে মানুষের মোহ ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা চান বিকল্প। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোট হলো সেই বিকল্প। আমাকে তাই এ বার সবাই ভোট দেবেন। জয় নিশ্চিত।’

প্রার্থী প্রোফাইল

জিতলে বছরে এক লক্ষ টাকা ঢুকবে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে, এটাই এখন তাঁর অন্যতম প্রচারের হাতিয়ার। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর কৌশল। তৃণমূলের আবার বক্তব্য, বহুবার বিধায়ক হয়েও কোন কাজ করতে পারেননি তিনি। নেপালের জবাব অবশ্য তৈরি, ‘জাতীয় কংগ্রেস ভোট কাটার জন্য ভোটে অংশগ্রহণ করে না। জেতার জন্য লড়ে। হার জেনেই উল্টোপাল্টা বকছেন অনেকে।’

বিধায়ক হিসেবে নিজের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে নেপাল দাবি করছেন, ‘বাঘমুণ্ডি বিধানসভায় পর্যটন থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা কার সময়ে হয়েছে? এ বার ভোটে জিতে দিল্লি গেলে এই জেলার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প আটকাবে না। রেল-জাতীয় সড়কের সঙ্গে জেলার পর্যটনে উন্নতি এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়ন হবেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *