সবই তো মমতাই করলেন: শান্তিরাম – lok sabha election 2024 profile of purulia tmc candidate shantiram mahato


এই সময়: তিনি চারবারের বিধায়ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় টানা দশ বছর পূর্ণ মন্ত্রীও ছিলেন শান্তিরাম মাহাতো। গত বিধানসভা নির্বাচনে খুব সামান্য ভোটে বলরামপুর আসনে বিজেপির কাছে হারের পর বর্ষীয়ান এই নেতার রাজনৈতিক কেরিয়ার টলমল করছিল। যদিও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে দল।লক্ষ্মীর ভাণ্ডর, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী-র মতো সরকারি প্রকল্প প্রচারে এনে কামব্যাকের লড়াইয়ে পুরুলিয়ার লালমাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন শান্তিরাম। সত্তর বছর বয়সেও নির্বাচনী কেন্দ্র চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাখির চোখ করছেন দলীয় সংগঠন এবং মহিলাদের ভোটবাক্সকেও।

তবে লড়াই মোটে সহজ নয়, তা মানছেন তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। ২০২১ সালে পুরুলিয়ার লোকসভার সাতটি বিধানসভা আসনের পাঁচটিতেই বিজেপির কাছে হার ঘাসফুল শিবিরের ‘কাঁটা’ হয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট অবশ্য আশার আলো জুগিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বাড়তি অর্থ বরাদ্দও বাড়তি ‘অক্সিজেন’ জোগাচ্ছে শান্তিরামকে। দশ বছর ক্যাবিনেট মন্ত্রী থাকলেও, জেলার উন্নয়নে তিনি ব্যর্থ বলে প্রচার করছে বিজেপি।

প্রার্থী প্রোফাইল

প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যোতির্ময় বলছেন, ‘রাজ্যে মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি, তিনি সংসদে গিয়ে কী করবেন? জবাবে শান্তিরামের কটাক্ষ, ‘ধর্মের চশমা পরে দৃষ্টিশক্তি সীমিত হয়ে গিয়েছে বিজেপির। তাই চোখে পড়ছে না। যা উন্নয়ন করার সবটাই করেছে তৃণমূল সরকার। জেলায় একাধিক নতুন ডিগ্রি কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজও হয়েছে।

এখন যা বিজেপি নিজের উন্নয়ন বলে দাবি করছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্প।’ শান্তিরামের মুখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও শোনা যাচ্ছে- ‘সংসদে গেলে পুরুলিয়ার প্রাপ্য আদায় করেই ছাড়ব।’ টক্কর চলছে সমানে সমানে। একজন তরুণ রাজনীতিবিদ, অন্যজন বয়স ও অভিজ্ঞতায় প্রবীণ। শেষ হাসি কে হাসবেন– এখন তাঁরই অপেক্ষা। তবে পুরুলিয়ার মানুষ চান, রাজনীতি নয়। যেই জিতুক, তিনি যেন উন্নয়নের দিকেই জোর দেন!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *