তবে লড়াই মোটে সহজ নয়, তা মানছেন তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ। ২০২১ সালে পুরুলিয়ার লোকসভার সাতটি বিধানসভা আসনের পাঁচটিতেই বিজেপির কাছে হার ঘাসফুল শিবিরের ‘কাঁটা’ হয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট অবশ্য আশার আলো জুগিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বাড়তি অর্থ বরাদ্দও বাড়তি ‘অক্সিজেন’ জোগাচ্ছে শান্তিরামকে। দশ বছর ক্যাবিনেট মন্ত্রী থাকলেও, জেলার উন্নয়নে তিনি ব্যর্থ বলে প্রচার করছে বিজেপি।

প্রতিদ্বন্দ্বী জ্যোতির্ময় বলছেন, ‘রাজ্যে মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি, তিনি সংসদে গিয়ে কী করবেন? জবাবে শান্তিরামের কটাক্ষ, ‘ধর্মের চশমা পরে দৃষ্টিশক্তি সীমিত হয়ে গিয়েছে বিজেপির। তাই চোখে পড়ছে না। যা উন্নয়ন করার সবটাই করেছে তৃণমূল সরকার। জেলায় একাধিক নতুন ডিগ্রি কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজও হয়েছে।
এখন যা বিজেপি নিজের উন্নয়ন বলে দাবি করছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্প।’ শান্তিরামের মুখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও শোনা যাচ্ছে- ‘সংসদে গেলে পুরুলিয়ার প্রাপ্য আদায় করেই ছাড়ব।’ টক্কর চলছে সমানে সমানে। একজন তরুণ রাজনীতিবিদ, অন্যজন বয়স ও অভিজ্ঞতায় প্রবীণ। শেষ হাসি কে হাসবেন– এখন তাঁরই অপেক্ষা। তবে পুরুলিয়ার মানুষ চান, রাজনীতি নয়। যেই জিতুক, তিনি যেন উন্নয়নের দিকেই জোর দেন!