২৪ ঘণ্টার জন্য প্রচার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করার পর কমিশনের কাছ থেকে শোকজ নোটিশ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর নির্বাচন কমিশন তাঁকে মঙ্গলবার বিকেল ৫ থেকে কাল বিকেল ৫ পর্যন্ত প্রচার করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞায় তাঁর ‘সম্মানহানি’ হয়েছে বলে দাবি করেন প্রাক্তন বিচারপতি।এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিজিৎ জানান, নোটিশের ছদ্মবেশে আমার মানহানি করা হয়েছে। আমি সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছি। এবার তাঁরা নির্দেশটি পুনর্বিবেচনা করবেন না করবেন না সেটা দেখতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তিনি কেন এই ধরনের মন্তব্য করেছেন? তাঁর বিরুদ্ধে কেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? সেই ব্যাপারে জবাবদিহি চাওয়া হয়। সোমবার নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাব দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এরপর তাঁর কাছে মঙ্গলবার সকালে কমিশন থেকে আরও একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়েই কমিশন তাঁকে নতুন নির্দেশ পাঠায় বলেই মনে করা হচ্ছে। সেখানে তাঁকে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার জন্য কোনওরকম রাজনৈতিক প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁকে ‘সেন্সর’ করার জন্য সম্মানহানি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এরপর তাঁর কাছে মঙ্গলবার সকালে কমিশন থেকে আরও একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়েই কমিশন তাঁকে নতুন নির্দেশ পাঠায় বলেই মনে করা হচ্ছে। সেখানে তাঁকে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার জন্য কোনওরকম রাজনৈতিক প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে তাঁকে ‘সেন্সর’ করার জন্য সম্মানহানি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অভিজিৎ বলেন, ‘তাঁরা এই নির্দেশটি দিয়ে আমার যে সম্মানহানি করেছেন, এর আইনি পরিণতি আছে। দেখা যাক, কোনও আইনি পরিণতি কিছু হয় কিনা। সেটা আমি এখনই বিশদে কিছু বলছি না।’
তাঁর বক্তব্য, যে নির্দেশ তাঁকে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ প্রচার বন্ধ রাখার ব্যাপারে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়ে তাঁর কিছু সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, ‘আগে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই আমার মন্তব্য সম্বন্ধে তাঁদের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ ছিল। সেই পর্যবেক্ষণের জবাব না শুনেই আমাকে কেন এরকম করা হল, সেই সম্বন্ধে আমার মনে সন্দেহ ছিল…ওই মন্তব্যগুলি দেখে মনে হয়েছে, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল।’ সেই নোটিশে এমন কিছু ‘মন্তব্য’ করা হয়েছিল, সেটা তাঁর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে হয়েছে বলে জানান তিনি। কমিশনের কোনও কর্মী ‘প্রভাবিত’ হয়ে থাকতে পারেন বলেও সন্দেশপ্রকাশ করেন তিনি।