উল্লেখ্য, গত ৪ মে থেকে দফায় দফায় BJP বেশ কিছু সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিজেপি। সেই বিজ্ঞাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, এরকম ধরনের বিজ্ঞাপন নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। পাশাপাশি ওই বিজ্ঞাপন মামলাকারীর সংবিধানের ১৯ ও ২১ ধারায় প্রাপ্ত অধিকারও হরণ করেছে বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞাপনদাতা অর্থাৎ বিজেপিকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও কাঠগড়ায় তুলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল এই বিজ্ঞাপনগুলির জন্য। এত অভিযোগের পরেও নির্বাচন কমিশন কেন ১৮ মে বিজেপিকে শোকজ নোটিস পাঠাল এবং ২১ মে কেন তার জবাবদিহির তারিখ নির্ধারণ করা হল, সেটা নিয়েই কমিশনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
এই মামলায় হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী ৪ জুন পর্যন্ত এই ধরনের কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশিত করতে পারবে না বিজেপি। বিজ্ঞাপন ছাপার ব্যাপারে সংবাদপত্রগুলিকেও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ১৯৯৬ সালের গাইড লাইন মানার জন্য সংবাদপত্রগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সংবাদপত্রে দেওয়া এই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভোটের মাঝেই মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সভামঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। তবে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় পছন্দ না হওয়াতেই এবার ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে বিজেপি।

 
                     
                     ভোটের মধ্যে BJP-কে বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশে ‘নিষেধাজ্ঞা’! কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
ভোটের মধ্যে BJP-কে বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশে ‘নিষেধাজ্ঞা’! কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট