উপনগরীতে দূষণের মাত্রা কেন বাড়ছে তা জানতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেছিল বিধাননগর পুরনিগম। ওই কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে, গত দুবছরে উপনগরীতে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। বাতাসে বিষের পরিমাণ বাড়ার কারণে হিসেবে গাড়ির ধোঁয়াকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা সুপারিশ করেছিলেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যাটারি বা সিএনজিচালিত যান বাড়ানো খুবই জরুরি।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, বর্তমানে সল্টলেকে কত সরকারি বাস চলে, কোন রুটে কতগুলি বাস চলে, কোন এলাকায় বাসের প্রয়োজন রয়েছে সেই তালিকা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত বাসের সুবিধা কী?
প্রথমত, ব্যাটারিচালিত বাসের গতি ডিজ়েলচালিত বাসের থেকে অনেক বেশি৷ দ্বিতীয়ত, বাসগুলি শুধু চার্জ দিলেই হবে। জ্বালানি না পোড়ায় বাতাসে মিশবে না কার্বন কণা। তৃতীয়ত, এই বাসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যেমন বেশি , তেমনই সাধারণ বাসের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ৷ প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মীদের প্রশ্ন, শুধু ব্যাটারিচালিত বাস নামিয়েই কী দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব?
পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার যুক্তি, এসি বাসে প্রতি ১.২৫ কিলোমিটারে এক লিটার জ্বালানি লাগে। সরকারি বাস প্রতিদিন ২০০ কিলোমিটার চলে। সাধারণ বাস হলে সেখানে দু’থেকে তিন কিলোমিটার চলে এক লিটার ডিজেলে। অর্থাৎ, এক একটা বাস থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বণ-ডাই-অক্সাইড-সহ নানা দূষিত গ্যাস বাতাসে মেশে। যা ব্যাটারিচালিত বাস চালু হলে আটকানো যাবে। সেই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত গাড়ি যাতে মানুষ ব্যবহার করেন, সে জন্য নানা প্রচারমূলক কর্মসূচি, সুবিধে দেওয়া হচ্ছে।
