চাও শুধু আমাকে গালাগালি দিতে এসেছিল। আজকে কিন্তু আমার এখানে মিটিং ছিল না। আমি এখন মেদিনীপুরে যাব। আমার পাঁশকুড়ায় মিটিং আছে, মেদিনীপুরে র্যালি আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিথ্যে কথার জবাব দেওয়ার জন্য আর কৃষকদের সমর্থনে এই মিটিংয়ে আমি এসেছি।’ মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের যাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে সেটা প্রশাসন দেখে নেবে যাতে ক্ষতিপূরণ পান।’
উল্লেখ্য, রবিবার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের দুই বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ওন্দার নিকুঞ্জপুরে জনসভা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে তৈরি করা হয়েছিল হেলিপ্যাড। সেই হেলিপ্যাড সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা কৃষি জমি। মাঠে রয়েছে বোরো ধান, তিল, রাঙা আলু, শশা সমেত অন্যান্য ফসল। চাষিদের একাংশের দাবি, সভাস্থল ও হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বিজেপি অনুমতি নিয়েছিল এবং সেখানে চাষিদের ফসলের ক্ষতিপূরণও দিয়েছে।
কিন্তু তার বাইরে অনেক জমির ফসলের একাংশ সভায় আসা মানুষের পায়ের চাপে নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ গ্রামের চাষিদের। তার ক্ষতিপূরণ না পেয়ে এই মুহূর্তে ক্ষোভে ফুঁসছেন চাষিরা। ওই গ্রামের চাষি উত্তম মাজি, শিলা মাজি, সুভাষ মাজিরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সভায় আসা লোকের পায়ের চাপে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সভা করে চলে গিয়েছেন বিজেপির নেতারা। আমাদের কী হবে? আমরা ন্যাহ্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি দল কৃষক বিরোধী। মোদীর সভার নামে কৃষকদের ফসল নষ্ট করেছে। তার ক্ষতিপূরণও দেয়নি। তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা চাষিদের পাশে আছি।’ যদিও এ নিয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, ‘যাঁদের অনুমতি ও জমি নিয়ে বিজেপি-র সভা হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। ভিড়ে হাঁটাচলা করার জন্য যাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে আমাদের কার্যকর্তারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদেরও যা পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে। এটা নিয়ে তৃণমূলের লাফাঝাঁপা করার কোনও কারণ নেই।’