তবে আবহাওয়া অনুকূল থাকা সত্ত্বেও ভোটদানের হার কমায় কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন কমিশন। এতে শাসক না বিরোধী, কার লাভ বেশি, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্চম দফায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সারা দেশে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৬.৬৮ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে সেই হার ৭৩ শতাংশ।
দেশের অন্য অংশের তুলনায় বাংলায় ভোটদানের হার বেশি। কিন্তু চতুর্থ দফার তুলনায় পঞ্চম দফায় এ রাজ্যেও ভোটদানের হার কমেছে। চতুর্থ দফায় বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এখানে ভোটদানের হার ছিল ৭৫.৬৬ শতাংশ। এ দিন সাতসকালে বালির ভারতীয় হাইস্কুলের বুথে প্রিসাইডিং অফিসারকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের এক মহিলা এজেন্টের বিরুদ্ধে। তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।
কল্যাণীর গয়েশপুর বেদিভবনের কাছে বিজেপি নেতা সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে। কল্যাণী কাঁটাগঞ্জ গোকুলপুর আদর্শ শিক্ষায়তন হাইস্কুলের বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। হুগলির ধনেখালিতে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
সেই সময় সেখানে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র। লকেটও পাল্টা ‘অসীমা চোর-অসীমা চোর’ বলে স্লোগান দেন। তার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অসীমার অভিযোগ, ‘হার নিশ্চিত বুঝে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছিলেন বিজেপি প্রার্থী।’ লকেটের পাল্টা দাবি, ‘তৃণমূল ভোট লুট করার চেষ্টা করছিল। আমি পৌঁছে যাওয়ায় সেটা ভেস্তে যায়।’
বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলনেত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘রাজ্যের যে সাতটি আসনে ভোট ছিল, সেখানে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়েছে। আমরা আশাবাদী, সবক’টি আসনেই তৃণমূল খুব ভালো ফল করবে। ব্যারাকপুরের মতো জায়গাতেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এ রাজ্যে ভোট নিয়ে সব সময় তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা হয়। সেটা এ বার ব্যর্থ হয়েছে।’
বিজেপির দিক থেকে শোনা গিয়েছে উল্টো সুর। লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংয়ের মতো বিজেপি প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীদের ক্ষোভ খুবই সঙ্গত। ভোট চলাকালীন আমাদের প্রার্থীরা যখন দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন তখন সেন্ট্রাল ফোর্সের দেখা মেলেনি। বিষয়টি দরকারে কমিশনে জানাব।’
এ প্রসঙ্গে শশীর কটাক্ষ, ‘বিজেপি হয়তো সেন্ট্রাল ফোর্সকে দলের কাজে ব্যবহার করবে ভেবেছিল। তাতে সফল হয়নি বলেই এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষারোপ করছে।’