এই সময়: ভোট দিতেই পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বাবুন নামেই পরিচিত। কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা হলেও বাবুন ২০২২ সালে হাওড়ার ভোটার হন। গত কয়েক বছরে হাওড়ার নানা সামাজিক কাজকর্ম ও খেলাধুলোর সঙ্গে তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলে এই জেলার বাসিন্দা হিসেবেই পরিচিত।সোমবার সকালে তিনি মধ্য হাওড়ার একটি বুথে ভোট দিতে গিয়ে দেখেন, তাঁর নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ পড়েছে। ফলে এই লোকসভা কেন্দ্রে বাবুনের আর ভোটই দেওয়া হবে না। কারণ, কলকাতার ঠিকানার ভোটার লিস্ট থেকেও তাঁর নাম মুছে গিয়েছে। এদিন সন্ধেয় ফোনে বাবুন বলছিলেন, ‘যবে থেকে ভোটার হিসেবে নাম উঠেছে, তবে থেকে সব নির্বাচনেই ভোট দিয়েছি। এই প্রথমবার ভোট দিতে পারলাম না। এটা আমার কাছে যেমন যন্ত্রণার, তেমনই ভোটিং সিস্টেমের কাছে লজ্জার। যোগ্য ভোটার বাদ যাওয়াটা সিস্টেম হতে পারে না।’
তাঁর সংযোজন, ‘২০২২ সালে আমি হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৬/১ দীনু মাস্টার লেনের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার লিস্টে নাম তুলি। সেই হিসেবে এটাই আমার কাছে হাওড়ায় প্রথম ভোট ছিল।’ বাবুন হাওড়ার বাসিন্দা হয়েছিলেন এ বার লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন, এমন ভেবেই।
তাঁর সংযোজন, ‘২০২২ সালে আমি হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৬/১ দীনু মাস্টার লেনের বাসিন্দা হিসেবে ভোটার লিস্টে নাম তুলি। সেই হিসেবে এটাই আমার কাছে হাওড়ায় প্রথম ভোট ছিল।’ বাবুন হাওড়ার বাসিন্দা হয়েছিলেন এ বার লোকসভা নির্বাচনে এখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন, এমন ভেবেই।
কিন্তু এ বারও প্রার্থী হিসেবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা হওয়ার পরে তিনি ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ওঠেন। যা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘ওকে আমাদের পরিবারের সদস্য বলেই মনে করি না। ওর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ।’ এরপরে বাবুন অবশ্য প্রকাশ্যে তাঁর কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
এদিন বাবুন বলেন, ‘আমাকে জানানো হয়নি, ভোটার লিস্ট থেকে আমার নাম বাদ গিয়েছে। আমি জানতাম, আমার নাম আছে। তাই সরাসরি ভোট দিতে যাই। প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, আমার নাম ডিলিটেড। কেন? তার সদুত্তর পাইনি। আমি এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন, এসডিও, হাওড়া জেলার নেতাদের জানিয়েছি। কিন্তু তাতে আর কী এসে গেল। ভোট তো দেওয়া হলো না।’